কোস্টারিকার বিপক্ষে প্রথমার্ধে গোল হজম করে পিছিয়ে পড়েছিল আর্জেন্টিনা। দ্বিতীয়ার্ধে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে ৩-১ গোলের জয়ে মাঠ ছাড়ে বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ দলটি এর আগে এল সালভাদরের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে জিতেছিল। কোপা আমেরিকার প্রস্তুতি হিসেবে আন্তর্জাতিক বিরতিতে চোটে পড়া লিওনেল মেসিকে ছাড়াই আলবিসেলেস্তেরা দুটি প্রীতি ম্যাচেই জয় পেল।
লস অ্যাঞ্জেলেসের মেমোরিয়াল স্টেডিয়ামে বুধবার ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণের পসরা সাজায় আর্জেন্টিনা। একের পর এক আক্রমণে কোণঠাসা করে রাখে কোস্টারিকা। ২১ মিনিটে অবশ্য দারুণ এক সুযোগ পায় আর্জেন্টিনা। লো সেলসো ও ডি মারিয়ার বোঝাপড়ায় ডি বক্সে ঢুকে শট নেন সেলসো। তবে তা দারুণভাবে ঠেকিয়ে দেন কোস্টারিকার গোলরক্ষক নাভাস।
কোস্টারিকা তেমন সুযোগ তৈরি করতে না পারলেও, কয়েকটি সুযোগেই জালের দেখা পেয়ে যায়। ৩৪ মিনিটে কোস্টারিকার হয়ে গোল করেন ম্যানফ্রেড উগালদে। ২১ বর্ষী ফরোয়ার্ডের গোলে ১-০তে এগিয়ে যায় দলটি।
দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ধারা বজায় রাখে আর্জেন্টিনা। ৫২ মিনিটে ডি বক্সের কিছুটা বাইরে থেকে ফ্রি কিকে দুর্দান্ত শটে লক্ষ্যভেদ করেন বিশ্বজয়ী তারকা অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়া। সমতায় ফেরার দুই মিনিট পরই কর্নার থেকে গোল করে আর্জেন্টিনাকে লিড এনে দেন অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার।
৭৭ মিনিটে ডান দিক থেকে আক্রমণে গোল পায় তিনবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। ডি বক্সের ভেতরে জটলা পাকানো থেকে বল পেয়ে জালে জড়ান লৌতারো মার্টিনেজ। বদলি হিসেবে নেমে গোল করেন এই কাতার বিশ্বকাপের দলে থাকা এই আর্জেন্টাইন।
এরপরই বেশকিছু আক্রমণ করলেও গোলের দেখা পায়নি লিওনেল স্কালোনির দল। কোস্টারিকাও চেষ্টা করেছে গোল পরিশোধের, তবে আর্জেন্টিনার রক্ষণ ভাঙতে পারেনি।
কোস্টারিকার বিপক্ষে জয়ের ধারাবাহিকতাও ধরে রাখল আর্জেন্টিনা। এ নিয়ে আটবারের মুখোমুখিতে তারা ষষ্ঠবার জয় পেল। অন্য দুটি ম্যাচ হয়েছিল ড্র।