নগরের নিউমার্কেট এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করছে হকাররা। সড়ক ও ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করা হকারদের উচ্ছেদের প্রতিবাদে এ সমাবেশ চলছে। ফলে সড়কে সৃষ্টি হয়েছে যানজট এবং বন্ধ রয়েছে রাস্তার একপাশের গাড়ি চলাচল।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টার পর থেকেই নিউমার্কেট মোড় থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে জুবিলী রোডে জড়ো হতে থাকেন হকাররা।
সরেজমিন দেখা গেছে, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হকার্স সমিতি, চট্টগ্রাম হকার্স লীগ, চট্টগ্রাম ফুটপাত হকার্স সমিতি, চট্টগ্রাম সিটি হকার্স লীগ এবং টেরীবাজার আমদরকিল্লা হকার্স সমিতির ব্যানারে জুবিলী রোডের বনফুল শো-রুমের সামনের মূল সড়কে অবস্থান নেন হকাররা।
এ সময় রাস্তায় গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। রাস্তার অপরপাশে গাড়ি চলাচল করলেও সৃষ্টি হয় তীব্র যানজটের। বাস, সিএনজি, রিকশাসহ অন্যান্য যানবাহন যানজটের কবলে পড়ে শিক্ষার্থী এবং কর্মজীবী মানুষেরা এ সময় বিপাকে পড়েন।
বিক্ষোভ সমাবেশে হকার নেতারা বলেন, আজ ১৫ দিন আমাদের হকারদের উচ্ছেদ করেছে। আমরা উপোসে দিন কাটাচ্ছি। সামনে রমজান মাস এবং এরপর ঈদুল ফিতর। ঈদের আগে আমাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করলে আমরা রাজপথ ছাড়বো না।
মেয়রের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তারা বলেন, এর আগেও অনেক মেয়র ছিলেন। তারা আমাদের সাথে আলাপ আলোচনা করেছিলেন। কিন্তু বর্তমান মেয়র আমাদের সাথে আলাপ-আলোচনা না করেই উচ্ছেদ করে দিয়েছে। আমরা তো ভেসে আসিনি এখানে। দ্রুত পুনর্বাসন না করলে আমরা কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দিবো। মেয়র আপনি কি চান আমাদের বউ-বাচ্চা, মা-মেয়ে নিয়ে রাস্তায় অনশন করি?
তারা বলেন, রমজানের বাকি অল্প কয়দিন। আপনার কাছে বিনীত অনুরোধ আপনি আমাদের নেতা। যাদের ইন্ধনে আপনি এসব করছেন, কালো টাকা সাদা করার পাঁয়তারা চলছে তারা সবসময় থাকবে না। আমরাই থাকবো আপনার সাথে।
বিক্ষোভ সমাবেশে এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হকার্স সমিতির সভাপতি মিরন হোসেন মিলন, সাধারণ সম্পাদক মাসুম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম ভূঁইয়া, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য শাহীন আহমদ, সদস্য নূর মোহাম্মদ, চট্টগ্রাম ফুটপাত হকার্স সমিতির সভাপতি নুরুল আলম লেদু, সাধারণ সম্পাদক জসিম মিয়া, সাধারণ সম্পাদক তারেক হায়দার, চট্টগ্রাম হকার্স লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ রনিসহ অন্যান্য হকার নেতৃবৃন্দ এবং হকারেরা।