না ঢেকেই কমোডে ফ্ল্যাশ করছেন? কী কী বিপদ হতে পারে?

অনলাইন ডেস্ক

  • ফ্ল্যাশ করার পর পানির স্রোত এবং বাতাসের কারণে সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম পানির কণা চারিদিকে ছড়িয়ে যায়, এসব কণার মধ্যেই রোগজীবাণু, ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া থাকে

দৈনন্দিন জীবনে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার্য একটি জিনিস হল টয়লেট। অফিস থেকে বাসা-বাড়ি, সব জায়গাতেই বর্তমানে হাই কমোডের ব্যবহার।

টয়লেটের পর ফ্ল্যাশ করার সময় বেশীরভাগ মানুষেরই কমোডের ঢাকা দেওয়ার কথা একেবারেই মনে থাকে না। কমোড ঢেকে ফ্ল্যাশ করার যে বিশেষ কোনও প্রয়োজন থাকতে পারে, তেমন কথাও অনেকেই জানেন ই না।

তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, কমোড না ঢেকেই, খোলা রেখে ফ্ল্যাশ করলেও সংক্রমণ ছড়াতে পারে।

কমোড ঢেকে ফ্ল্যাশ করার কারণ:

টয়লেটের দরজা, কল কিংবা কমোডের ফ্ল্যাশে ব্যাকটেরিয়ার আনাগোনা রয়েছে। আমরা টয়লেটে যে কোন কাজ শেষে সাধারণত সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নেই। কিন্তু তার চেয়েও বেশি ব্যাকটেরিয়া যে ফ্ল্যাশ করার পর বাতাসে ছড়িয়ে পড়ছে, তা হয়তো অনেকেই জানেন না।

ফ্ল্যাশ করার সঙ্গে সঙ্গেই পানির স্রোত এবং বাতাসের কারণে সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম পানির কণা চারিদিকে ছড়িয়ে যায়। এসব কণার মধ্যেই রোগজীবাণু, ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া থাকা অস্বাভাবিক নয়। তাই কমোড ঢেকে ফ্ল্যাশ করলে ব্যাকটেরিয়া ছড়ানো রুখে দেওয়া যায় সহজেই।

তবে রাস্তার ধারে থাকা বেশির ভাগ সাধারণ টয়লেট, বিমানবন্দর বা শপিং মলের টয়লেটের কমোডে কিন্তু ঢাকা থাকে না। সে ক্ষেত্রে কমোড ব্যবহার করার পর বেশিক্ষণ সেখানে দাঁড়িয়ে না থেকে তৎক্ষণাৎ বেরিয়ে আসতে হবে।

পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে চাইলে টয়লেট ব্যবহারের পর এই বিষয়গুলি মাথায় রাখতে হবে।

১. অবশ্যই স্যান্ডেল পরে টয়লেটে প্রবেশ করতে হবে এবং টয়লেটের জন্য আলাদা স্যান্ডেল রাখা উচিত।

২. টয়লেট ব্যবহার শেষে অবশ্যই সাবান বা হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে অন্তত ২০ সেকেন্ড ধরে ভালো করে হাত ধুয়ে নিন।

৩. টয়লেটের দরজা খুলতে বা বন্ধ করতে, পানির কল ছাড়তে বা বন্ধ করতে, টয়লেটে থাকা কোন জিনিস ধরতে টিস্যু পেপার ব্যবহার করা যেতে পারে।

৪. প্রয়োজনীয় কাজ শেষে কমোড ঢাকনা দিয়ে ঢেকে তারপর ফ্লাশ করুন এবং টয়লেট ব্যবহার না হলেও কমোড ঢেকে রাখা উচিত।

৫. টয়লেটে ফোন বা অন্য কিছু না নিয়েই যাওয়া ভালো।

সোস্যাল নেটওয়ার্ক

সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত