বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘কোনো স্বৈরশাসকই চিন্তা, মুদ্রণ ও লেখনীর স্বাধীনতা সহ্য করতে পারে না। বাংলাদেশেও একদলীয় স্বৈরশাসনে মুক্ত গণমাধ্যমের ওপর নামিয়ে আনা হয়েছে উৎপীড়নের খড়্গ। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিকসহ মুক্তচিন্তার মানুষদের ওপর নিষ্ঠুর আক্রমণ চলছে।’
দেশে স্বাধীন সাংবাদিকতাকে নিরুদ্দেশ করা হয়েছে মন্তব্য বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘দেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিকসহ মুক্ত চিন্তার মানুষদের ওপর নিষ্ঠুর আক্রমণ চলছে।’
বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে শুক্রবার এক বাণীতে এ মন্তব্য করেন তিনি। এতে অবিলম্বে বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের আহ্বান জানান বিএনপির এই নেতা।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কোনো স্বৈরশাসকই চিন্তা, মুদ্রণ ও লেখনীর স্বাধীনতা সহ্য করতে পারে না। বাংলাদেশেও এখন একদলীয় স্বৈরশাসনে মুক্ত গণমাধ্যমের ওপর নামিয়ে আনা হয়েছে উৎপীড়নের খড়্গ।
বিরোধী কণ্ঠস্বরকে নিস্তব্ধ করার জন্যই সরকার একের পর এক কালো আইন প্রণয়ন করেছে বলে মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘সাংবাদিক ও বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দিয়ে গ্রেপ্তারের মাধ্যমে দিনের পর দিন কারাগারে অন্তরীণ রাখা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, তাদের জামিন পাওয়ার অধিকারও বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে। গণতন্ত্রকে সমাধিস্থ করতেই স্বাধীন গণমাধ্যমের অস্তিত্বকে অস্বীকার করছে এই কতৃর্ত্ববাদী সরকার।’
ফখরুল বলেন, ‘মুক্ত সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমের দাবিতে সারাবিশ্বে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করা হয়। এ বছর দিবসটির মূল প্রতিপাদ্য- গ্রহের জন্য গণমাধ্যম: পরিবেশগত সংকট মোকাবেলায় সাংবাদিকতা। বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রতিপাদ্যটি বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।
‘বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি দেশ-বিদেশে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হলেও আওয়ামী সরকার এই আইনকে সাংবাদিক, ভিন্ন মতের মানুষ ও বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের দমন করতে যথেচ্ছ ব্যবহার করছে। উদ্দেশ, কেউ যাতে সরকারের বিরুদ্ধে সত্য কথা বলতে না পারে।’
১৯৯১ সালে জাতিসংঘের সাধারণ সভায় ৩ মে ‘ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ডে’র (বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস) স্বীকৃতি দেয়া হয়। ইউনেস্কোর মতে অবাধ, মুক্তচিন্তা এবং মতপ্রকাশের অধিকার হচ্ছে মানবাধিকারের অন্তর্নিহিত শক্তি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আজকের দিনটিতে সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষা ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তার জন্য গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে শামিল হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সবা প্রতি জোরালো আহ্বান জানাচ্ছি।’