দেশে ফিরে বিশ্বকাপ ব্যর্থতা নিয়ে মুখ খুলেছেন তাসকিন

স্পোর্টস ডেস্ক

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মিশন শেষে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। শুক্রবার (২৮ জুন) সকাল ৯ টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পা রাখেন ক্রিকেটাররা। অ্যান্টিগা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের মায়ামি ও দুবাই হয়ে ঢাকায় এসেছে তারা।

দলের সঙ্গে বাংলাদেশে আসেননি বিদেশি কোচরা। হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেসহ সবাই বিশ্বকাপ শেষে নিজ নিজ দেশে ছুটিতে গেছেন। আজ ফেরা হয়নি লিটন দাস ও সৌম্য সরকারের। সাকিব গতকালই ঢাকায় এসেছেন। সৌম্য ও লিটন আসবেন শনিবার।

বিমানবন্দরে পা রেখেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বাংলাদেশ দলের সহ-অধিনায়ক তাসকিন আহমেদ। বাংলাদেশ দলের বিশ্বকাপ পারফরম্যান্স নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বারবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে সুপার এইট পর্বের শেষ ম্যাচের প্রসঙ্গ টেনেছেন।

টাইগারদের পারফরম্যান্সের প্রসঙ্গে তাসকিন বললেন, ‘না, আসলে সত্যি কথা বলতে, ভালোর তো শেষ নেই। হ্যাঁ, আরও অনেক ভালো হতে পারত। বিশেষ করে শেষ ম্যাচটা, আমরা সবাই একটু হতাশ হয়েছি। আমরা জেতার চেষ্টা করেছি প্রথমে, ১২ ওভারের মধ্যে, যখন বুঝতে পারলাম ১২ ওভারের মধ্যে শেষ করা সম্ভব না, তখন স্বাভাবিকভাবে খেলার চেষ্টা করেছিল সবাই। তাও জিততে পারিনি।’

দলের বোলারদের পারফরম্যান্স নিয়ে এই পেসার বলেন, ‘হ্যাঁ, ইতিবাচক দিক আছে। পুরো টুর্নামেন্টে বোলিং যথেষ্ট ভালো করেছে। সুপার এইটে এসেছি। সর্বপ্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আমরা তিনটা জয় পেয়েছি। মানে পজেটিভ আছে। কিন্তু নেগেটিভের সংখ্যাটা একটু বেশি। সবার মতো আমরাও জানি, প্রত্যাশা অনুযায়ী ভালো হয়নি। বোলিং ইউনিট আগাগোড়াই কয়েক বছর ধরে ভালো করছে। সে ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে। সামনে আরও ভালো হবে। ভালোর তো শেষ নেই।’

ব্যাটিং ব্যর্থতা নিয়ে সহ-অধিনায়ক বলেন, ‘আর ব্যাটিং, বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডে যুক্তরাষ্ট্রে যখন খেলা হয়েছে, তখন উইকেট ব্যাটসম্যানদের পক্ষে কম ছিল। আপনারা যদি পরিসংখ্যান দেখেন, অন্য দেশের বড় বড় ব্যাটসম্যানকেও সেখানে ধুঁকতে হয়েছে। সেখানে বোলারদের একটু বাড়তি সুবিধা ছিল। ওয়েস্ট ইন্ডিজে যাওয়ার পর আমরা কিছুটা ভালো উইকেটে খেলেছি।’ পরে এ কথাও বলেছেন, ‘কিন্তু আমি বাংলাদেশ দলের হয়ে ক্রিকেট খেলার সময়, লাস্ট ১০ বছর ধরে খেলছি, কখনোই এত লম্বা ব্যাডপ্যাচ দেখিনি। আশা করি এটা কাটিয়ে উঠবে।’

দলের দুই সিনিয়র ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ ছিলেন পুরো বিশ্বকাপ জুড়ে ব্যর্থ। তাদের ফর্মহীনতা দলকে ভুগিয়েছে, এমনটা মানেন তাসকিন। তার কথা, ‘দুজন সিনিয়রের ফর্মে না থাকা অবশ্যই প্রভাব ফেলেছে। কিন্তু মাঠের বাইরে প্রভাব পড়েনি। ৪৭ দিন একসঙ্গে ছিলাম, সবাই একসঙ্গে ছিলাম। অফ দ্য ফিল্ডে সব ভালো ছিল। দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়রা অফ ফর্মে থাকলে ওই দলে সমস্যা হওয়াটাই স্বাভাবিক। আশা করছি দ্রুত সামনে এসব কাটিয়ে উঠব।’

সোস্যাল নেটওয়ার্ক

সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত