সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, ‘১০ হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতার বেশি বিদ্যুৎকেন্দ্র অলস বসে রয়েছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে উৎপাদন ছাড়াই ক্যাপাসিটি চার্জ পরিশোধ করা হচ্ছে। ক্যাপাসিটি চার্জ না দিলে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হতো না।’
ব্যাংকিং খাত সঠিকভাবে পরিচালনার ক্ষেত্রে সরকারের ব্যর্থতার সমালোচনা করেছেন জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা জিএম কাদের। তিনি বলেছেন, ‘দেশের ব্যাংকগুলো যে দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছে এনআরবিসি ব্যাংক তার উদাহরণ।’
বৃহস্পতিবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশনে জিএম কাদের বলেন, ‘এনআরবিসি ব্যাংক দুর্নীতিতে ডুবে যাচ্ছে। ৩০ এপ্রিল এই ব্যাংকের ১৩ জন পরিচালক আমাকে চিঠি দিয়ে বলেছেন ডে এই ব্যাংকটি দুর্নীতিতে ডুবে আছে।’
তিনি বলেন, ‘উদ্যোক্তা পরিচালকরা বলছেন, তারা এখানে বিনিয়োগ করেছেন। এখন ব্যাংকটি থাকবে কিনা তা নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে আছেন তারা। টাকা ফেরত পাবেন কিনা তা তারা জানেন না। তারা দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।’
লোডশেডিং প্রসঙ্গে জিএম কাদের বলেন, ‘রাজধানী ঢাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই। শহরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিং বাড়ছে।
‘এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে সারাদেশে তীব্র তাপপ্রবাহ দেখা দিলে গ্রামীণ মানুষ সবচেয়ে বেশি লোডশেডিংয়ের শিকার হয়।’
তিনি বলেন, ‘প্রচণ্ড গরমে রংপুর, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, রাজশাহী, সিলেট অঞ্চল ছাড়াও ঢাকার আশপাশের জেলা, বরিশাল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও ফেনী সব এলাকার মানুষকে ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিং সহ্য করতে হয়েছে।’
তিনি বলেন, বাস্তবতা হচ্ছে সরকার প্রয়োজনের সময় লোডশেডিং কমাতে পারেনি এবং নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে পারেনি।
প্রয়োজনের তুলনায় ১০ হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতার বেশি বিদ্যুৎকেন্দ্র অলস বসে রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বিরোধীদলীয় নেতা বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিতরণ প্রক্রিয়ায় পিডিবির কর্মকর্তাদের সুষ্ঠু পরিকল্পনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে উৎপাদন ছাড়াই ক্যাপাসিটি চার্জ পরিশোধ করা হচ্ছে। এখন বিদ্যুতের দাম বাড়ছে। ক্যাপাসিটি চার্জ না দিলে দাম বাড়ানো হতো না।’