দাম কমতে পারে যেসব পণ্য ও সেবার

নিজস্ব প্রতিবেদক

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ২৭টি নিত্যপণ্য ও খাদ্যশস্য সরবরাহের ওপর উৎসে কর কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এসব পণ্যে উৎসে কর দুই শতাংশ থেকে কমিয়ে করা হচ্ছে এক শতাংশ।

আগামী ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে নিত্যপ্রয়োজনীয় কিছু পণ্য ও সেবার শুল্ক ও কর কমানোর প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। এর ফলে দাম কমতে পারে এসব পণ্য ও সেবার।

নিত্যপণ্য:

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ২৭টি নিত্যপণ্য ও খাদ্যশস্য সরবরাহের ওপর উৎসে কর কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এসব পণ্যে উৎসে কর দুই শতাংশ থেকে কমিয়ে করা হচ্ছে এক শতাংশ।

পণ্যগুলো হলো পেঁয়াজ, রসুন, মটর, ছোলা, চাল, গম, আলু, মসুর, ভোজ্যতেল, চিনি, আদা, হলুদ, শুকনা মরিচ, ডাল, ভুট্টা, ময়দা, আটা, লবণ, গোলমরিচ, এলাচ, দারুচিনি, লবঙ্গ, খেজুর, তেজপাতা, পাট, তুলা, সুতা ও সব ধরনের ফল।

বিদেশি চকলেট:

আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে চকলেট আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক ৪৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। এর ফলে দাম কমতে পারে পণ্যটির।

প্যাকেটজাত গুঁড়া দুধ:

প্রস্তাবিত বাজেটে প্যাকেটজাত গুঁড়া দুধ আমদানিতে করের হার কমানোর কথা বলা হয়েছে। বাজেটে আড়াই কেজি ওজন পর্যন্ত গুঁড়া দুধের ওপর করহার ৮৯.৩২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫৮.৬০ শতাংশ করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।

ল্যাপটপ:

ল্যাপটপ আমদানিতে বর্তমানে পাঁচ শতাংশ শুল্কসহ ৩১ শতাংশ শুল্ক-কর দিতে হচ্ছে। প্রস্তাবিত বাজেটে এ কর কমানোর প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।

প্রস্তাবিত বাজেটে শুল্ক-কর ৩১ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ দশমিক ৫০ শতাংশ করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।

কম্পিউটার:

বর্তমানে কম্পিউটার ও কম্পিউটার সামগ্রী আমদানির ক্ষেত্রে আমদানিকারক কোনো শর্ত ছাড়াই শুধু পাঁচ শতাংশ আমদানি শুল্ক দিয়ে সব ধরনের কম্পিউটার ও প্রিন্টারের যন্ত্রাংশ ইত্যাদি আমদানি করতে পারেন। এটি প্রকৃত কম্পিউটার সামগ্রী উৎপাদকদের জন্য অসুবিধা সৃষ্টি করে। প্রস্তাবিত বাজেটে এ শুল্ক প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হয়েছে।

নির্মাণসামগ্রী:

আবাসনসহ বিভিন্ন নির্মাণ খাতে ব্যবহৃত রড, বার ও অ্যাঙ্গেল তৈরির কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয় ম্যাঙ্গানিজ। প্রস্তাবিত বাজেটে এসব পণ্য আমদানিতে শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে পাঁচ শতাংশ করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।

সুইচ ও সকেট:

প্রস্তাবিত বাজেটে দেশে উৎপাদিত সুইচ-সকেট ও হোল্ডার উৎপাদনে ব্যবহৃত কাঁচামালের আমদানি শুল্ক কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এর ফলে কমতে পারে সুইচ ও সকেটের দাম।

ইলেকট্রিক মোটর:

প্রস্তাবিত বাজেটে ইলেকট্রিক মোটর উৎপাদনে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশ আমদানিতে রেয়াতি সুবিধা দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এর ফলে কমতে পারে ইলেকট্রিক মোটরের দাম।

উড়োজাহাজ রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয়:

এভিয়েশন খাতের উন্নতির অংশ হিসেবে ইঞ্জিন ও প্রপেলার আমদানি পর্যায়ে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) কমানোর প্রস্তাব দেয়া হয়েছে প্রস্তাবিত বাজেটে। ফলে উড়োজাহাজ রক্ষণাবেক্ষণে খরচ কমতে পারে।

মোটরসাইকেল:

প্রস্তাবিত বাজেটে দেশে তৈরি মোটরসাইকেলের সিকেডি ইঞ্জিনের পার্টস আমদানির শুল্ক কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এর ফলে কমতে পারে দেশে তৈরি মোটরসাইকেল।

কিডনি ডায়ালাইসিস ফিল্টার:

প্রস্তাবিত বাজেটে কিডনি ডায়ালাইসিসে ব্যবহৃত ফিল্টার ও সার্কিট আমদানির শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে এক শতাংশ করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। এর ফলে কমতে পারে ডায়ালাইসিসের ব্যয়।

কার্পেট:

প্রস্তাবিত বাজেটে কার্পেট তৈরির প্রধান কাঁচামাল পলিপ্রেপাইলিন ইয়ার্ন আমদানির শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে পাঁচ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে কমতে পারে দেশে তৈরি কার্পেটের দাম।

ডেঙ্গু কিট:

ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় কিট আমদানিতে রেয়াতি সুবিধা দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে প্রস্তাবিত বাজেটে। এর ফলে কমতে পরে কিটের দাম।

ক্যান্সার চিকিৎসা ব্যয়:

প্রস্তাবিত বাজেটে ক্যানসার চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধের কাঁচামাল আমদানিতে রেয়াতি সুবিধার আওতায় নতুন কিছু কাঁচামাল যোগ করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। এর ফলে ক্যানসারের চিকিৎসা ব্যয় কমতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সোস্যাল নেটওয়ার্ক

সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত