বহুজাতিক বিমা কোম্পানি মেটলাইফ বাংলাদেশ গত বছর ২ হাজার ৯৮১ কোটি টাকার বিমা দাবি পরিশোধ করেছে। গতকাল সোমবার প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সাধারণত কোনো বিমা পলিসির মেয়াদ পূর্ণ হলে বা মেয়াদপূর্তির আগে বিমা গ্রাহকের মৃত্যু ও স্বাস্থ্যগত কারণেও বিমা দাবির অর্থ পরিশোধ করে কোম্পানিগুলো।
বর্তমানে মেটলাইফের গ্রাহকেরা অনলাইনে বিমা দাবির আবেদন করতে পারেন। আবেদনের ৩ থেকে ৫ কর্মদিবসে বিমার টাকা পেয়ে যান। মেটলাইফ দাবি করেছে, বিভিন্ন উদ্যোগের মাধ্যমে বিমা দাবি নিষ্পত্তি প্রক্রিয়ায় ক্রমাগত উন্নতি করে যাচ্ছে তারা।
মেটলাইফ বাংলাদেশের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা আলা আহমদ বলেন, ‘দ্রুত ও সুবিধাজনকভাবে বিমা দাবি নিষ্পত্তির জন্য আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আমি বিশ্বাস করি আমাদের এই প্রচেষ্টা বাংলাদেশের বিমা খাতের প্রতি গ্রাহকদের আস্থা আরও দৃঢ় করবে।’
এদিকে চলতি মাসে মেটলাইফ বাংলাদেশের সহযোগিতায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির (এনএসইউ) স্কুল অব বিজনেস অ্যান্ড ইকোনমিকস যৌথভাবে দেশের বিমা খাতের সম্ভাবনা, চ্যালেঞ্জ ও কৌশল নিয়ে এক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার মাত্র দশমিক ৫০ শতাংশ বিমার গ্রাহক ছিলেন, যা বিশ্বের মধ্যে ৮৫তম। এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি থাইল্যান্ডের ৫ দশমিক ৩০ মানুষ বিমার গ্রাহক। মালয়েশিয়া ও পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে বিমার গ্রাহক যথাক্রমে ৫ ও ৪ শতাংশ।
ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দেশে জীবন বিমার গ্রাহক খুব বেশি বাড়ছে না। ২০০৮ সালে দেশের মোট জনসংখ্যার দশমিক ৪০ শতাংশ ছিলেন জীবন বিমার গ্রাহক। ২০১৯ সালে সেটি কমে দাঁড়ায় দশমিক ৩৮ শতাংশে। ২০২২ সালে তা আরও কমে দশমিক ২৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। একইভাবে সাধারণ বিমা গ্রাহকের সংখ্যাও কমেছে বলে গবেষণা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।