তাহসান আর ফারিণ জানালেন কী হয়েছিল সেদিন

বিনোদন ডেস্ক

অ্যাপেক্স আউটলেটে ঘটে যাওয়া সংগীতশিল্পী ও অভিনেতা তাহসান খান ও অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণের অনাকাঙ্ক্ষিত ভিডিও লাইভ প্রসঙ্গে একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে পাওয়ার মিডিয়া।

ওই সংবাদ সম্মেলনে তাহসান খান সাংবাদিকদের বলেন, অনেক সময় অদৃশ্য কিছু হাত থাকে। যে হাতটি আসলে সবকিছু পরিচালনা করে। আমরা আসলে পুতুলের মতো সেই হাত দ্বারা পরিচালিত হই। সেজন্যই আমরা এখানে বসে আছি। এবার ঈদে আমাদের একটা গান আসছে। গানের অলরেডি রেকর্ডিং হয়ে গেছে। সেই গানের জন্য আমরা ভিডিও শুটিং করতে বিভিন্ন জায়গায় যাওয়া হয়েছে। সে হিসেবে আমরা একটা স্টোরে গিয়েছিলাম। আজকে এতটুকুই বলতে পারি।

সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তাসনিয়া ফারিণ বলেন, আপনারা নিউজ করেন এবং মাঝে মাঝে এমন এমন হেডলাইন করেন, সেই নিউজের ভেতরে কী আছে অডিয়েন্স সেটা পড়ে দেখে না। সেই হেডলাইন থেকে তাদের মনে একটা ধারণা তৈরি হয়ে যায়। এটাকে আমরা অপসংবাদিকতা বলব।

সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তাহসান বলেন, এখন যে কেউ আপনাদের কাতারে এসে দাঁড়াতে পারছে। যে কেউ একটা মোবাইল, একটা ফেসবুক পেজ থাকলেই নিজেকেই সাংবাদিক বলে দাবি করতে পারছে। আমি মনে করি এজন্য আপনাদেরই সোচ্চার হওয়া উচিত। আপনাদের জায়গাটা তো এতো ঠুনকো না। ভুঁইফোড় শিরোনামের কাজগুলো বেশি হয়। প্রতিযোগিতার দৌড়ে আপনাদের কেউ হয়তো ভাবতে হচ্ছে, তাদের নিউজে এত বেশি ভিউ হচ্ছে, তাদের নিউজটার মতো আমাদেরও নিউজ করতে হবে। এ জন্য হয়তো আপনাদের করতে হচ্ছে। এর বাইরে এসে আপনাদের কাজটা করতে হবে। আমাদের উদ্দেশ্য ভাইরাল হওয়া না, আপনাদের ভাইরাল করা না। আমার প্রতিবাদের ভাষাটা আমি এখানে বলে দিলাম।

এরপরে স্টেজে আয়োজকদের একজন এসে বললেন, আমার মনে হয় প্রেস কনফারেন্স এখানেই শেষ করা উচিত। সময় স্বল্পতার একটা বিষয় আছে। এরপরে সবাই স্টেজ থেকে নেমে যায়।

শুরুতে তাহসান খান বলেন, আমি আসলে যে যুগে কাজ করা শুরু করেছি সেই যুগটা অন্যরকম ছিল। সে সময় আমরা গান গাইতাম, বই পড়তাম তারপরে আমরা কাজের মাধ্যমে মানুষের কাছে পৌঁছেছি। তারপরে মানুষের ভালোবাসার কারণে সেলিব্রেটিস হয়েছি হয়তো। বর্তমান যুগটা ডিফারেন্ট। এখন যা কাজ কি হচ্ছে, তার চাইতে মাইক সামনে কতগুলো আছে সেগুলোকে বেশি ইমপর্টেন্ট দেওয়া হয়। যারা সুন্দর করে মাইকের সামনে কথা বলতে পারেন না তারা আসলে বেশি যোগ্য। আজকে আসলে কতটুকু বলা উচিত বা কি বলা উচিত সেটা আমি এখনো শিওর না। তবে আমি এতোটুকুই বলতে পারি জীবনে অনেক ঘটনাই ঘটে, সবকিছু এক্সপ্লেইন করা একটু মুশকিল হয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, আপনারা হয়তো একটা লাইভে দেখেছেন আমরা কোথাও আটকা পড়েছিলাম। আমরা আসলে আটকা পড়িনি, এ কথাটা বলতে এসেছি। আমরা আসলে বলতে এসেছি, আমরা ভালো আছি। আসলে কী ঘটনা ঘটেছিল সেটা আপনারা কয়েকদিনের মধ্যেই জানতে পারবেন। আজকে আসলে সেই সুযোগটা নেই। আজকে আমরা পুরোটা এক্সপ্লেইন করতে পারব না। আমাদের হাতে বিষয়টা আসলে নেই।

পরে তাসনিয়া ফারিণ বলেন, আপনারা আসলে যে স্টোরে আমাদের দেখেছেন সেটা একটা অ্যাপেক্সের স্টোর ছিল। আমরা আসলে ওখানে একটা কাজের জন্য গিয়েছিলাম। সেখান থেকে একটা লাইভ হয়। পরে সেখান থেকে আমি একটা স্ট্যাটাস দিয়েছি। পরে সেটার একটা আপনার ভিডিও দেখেছেন। বিষয়টা এতোটুকুই।

প্রসঙ্গত, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত ১০টার দিকে অভিনেতা ও গায়ক তাহসান খানের ফেসবুক পেজ থেকে একটি লাইভ আপলোড হয়। কিন্তু আবার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মুছেও ফেলা হয়। ভিডিওটি দেখে ভালোভাবে কিছু বোঝা না গেলেও সেটিতে অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ জামিলকে তাহসানের সঙ্গে অন্ধকারাচ্ছন্ন একটি শোরুমে দেখা যায়। ভিডিওটি দেখে তাহসানের ফ্যানপেজে ব্যাপক কৌতূহল দেখা যায়। অনেকেই বিভিন্ন ধরনের কমেন্ট করতে থাকেন এবং অনেক ফেসবুক গ্রুপ, মীমপেজ এবং ব্যক্তিগত প্রোফাইলে লাইভের বিষয় নিয়ে মতামত শেয়ার করতে দেখা যায়। অন্যদিকে তাসনিয়া ফারিণও লাইভ ভিডিও আপলোড এর একঘণ্টা পর তার প্রোফাইল থেকে একটি স্ট্যাটাস দেন ‌‘এত রাতে এ কোথায় ফেঁসে গেলাম।’

এরপর এই ঘটনাটি নিয়ে বিভিন্ন ধরনের ব্যাখ্যা দেখা যায় সোশ্যাল মিডিয়া, টিভি-নিউজ, বিনোদনমূলক পেজ ও বেশ কয়েকটি খবরের অনলাইন পোর্টালে।

সোস্যাল নেটওয়ার্ক

সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত