সোমবার সীমান্তের এপারের বাসিন্দারা মর্টার ও গুলির শব্দ শোনেননি। মঙ্গলবারও একই অবস্থা। রোববার হোয়াইক্যং ও শাহপরীর দ্বীপ সীমান্তে কয়েকটি গুলির শব্দ শোনা গেলেও শব্দের মাত্রা ছিল নিতান্ত হালকা।
কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তে কোথাও মিয়ানমারের সংঘাতের গোলাগুলি ও মর্টার শেলের শব্দ নেই। এখন অনেকটাই শান্ত ওই এলাকা।
সোমবার সীমান্তের এপারের বাসিন্দারা মর্টার ও গুলির শব্দ শোনেননি। মঙ্গলবারও একই অবস্থা। রোববার হোয়াইক্যং ও শাহপরীর দ্বীপ সীমান্তে কয়েকটি গুলির শব্দ শোনা গেলেও শব্দের মাত্রা ছিল নিতান্ত হালকা।
উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন বলেন, মিয়ানমারের রাখাইনে সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মির সংঘর্ষ ঠিকই চলছে। তবে তা রাখাইনের পূর্বাঞ্চলের দিকে হওয়ায় মর্টার শেল ও গোলাগুলির ভারী শব্দ বাংলাদেশ সীমান্তে তেমন শোনা যাচ্ছে না।
তিনি বলেন, এ ছাড়া টেকনাফ সীমান্তে মাঝখানে নাফনদ থাকায় চার কিলোমিটার মতো একটা দূরত্ব আছে। রাখাইনের পশ্চিম সীমান্তে সংঘর্ষ চললেও তার প্রভাব টেকনাফে এতো বেশি পড়বে না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সোমবার দিনভর নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম, তুমব্রু, উখিয়ার রহমতের বিল, টেকনাফের হোয়াইক্যং ও শাহপরীর দ্বীপ সীমান্ত থেকে কোনো ধরনের গোলাগুলি ও মর্টার শেলের শব্দ শোনা যায়নি। এর আগের দিন হোয়াইক্যং ও শাহপরীর দ্বীপ সীমান্তে রাখাইনে গোলাগুলির কয়েকটি হালকা শব্দ শোনা গেছে। গোলাগুলির এসব হালকা শব্দে সীমান্তের বাসিন্দারা তেমন ভীত বা আতঙ্কিত নন।
শাহপরীর দ্বীপ জালিয়া পাড়ার বাসিন্দা এনায়েত উল্লাহ বলেন, মিয়ানমারের গোলাগুলি ও মর্টারের বিকট শব্দ শোনা যাচ্ছে না গত এক সপ্তাহ। মাঝেমধ্যে কয়েকটা গুলির শব্দ শোনা গেলেও এগুলোতে আমরা আতঙ্কিত নই। প্রথম দিকে সপ্তাহ দশদিন আগে গোলাগুলি ও বোমা বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শোনা যায়। ওই সময় দুই তিন দিন ভীতিকর পরিস্থিতিতে কেটেছে আমাদের। তবে এখন সেই পরিস্থিতি নেই।
হোয়াইক্যং লম্বাবিল এলাকার বাসিন্দা আব্দুল মান্নান বলেন, সীমান্ত এখন অনেকটা শান্ত বলা যায়। সীমান্তবর্তী এলাকার লোকজন অনেকটা স্বস্তিতে আছে। এ ছাড়া নাফনদের সীমান্ত দিয়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশও হচ্ছে না।
এদিকে সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের সংঘাতময় পরিস্থিতিতে এপারে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে কিছুটা বাড়াবাড়ি হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দারা।
তাদের ভাষ্য, বাস্তবতার চেয়ে অতিরঞ্জিত করে প্রচারিত তথ্য ও সংবাদ সীমান্তের মানুষের জীবনযাত্রা দুর্বিষহ করে তুলতে পার। বিভিন্ন পেশার মানুষের কাজেকর্মেও প্রভাব ফেলতে পারে এসব কিছু।
শাহপরীর দ্বীপ জালিয়া পাড়ার বাসিন্দা নুরুল ইসলাম বলেন, সারাদিন এলাকায় আছি, সীমান্তের ওপারে কোন ভারী গোলা, মর্টার শেল বা বোমা বিস্ফোরণের শব্দ নেই। মাঝেমধ্যে হালকা কয়েকটি গুলির শব্দ শোনা যায়, তা কিন্তু বিকট শব্দে বা ঘরবাড়ি কেঁপে ওঠার মতো নয়।