‘বিজয় নিশান উড়ছে ঐ’ কিংবা ‘পূর্বদিগন্তে সূর্য উঠেছে’-এসব গানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে খ্যাতনামা সঙ্গীতশিল্পী কল্যাণী ঘোষের নাম। জীবন সায়াহ্নে এসে এবার তিনি পাচ্ছেন রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ‘একুশে পদক’।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় থেকে দেয়া একুশে পদক ২০২৪ এর জন্য মনোনীত বিশিষ্ট নাগরিকদের তালিকায় রয়েছে তার নাম। মুক্তিযুদ্ধের ৫৩ বছর পর রাষ্ট্রীয় এই স্বীকৃতি পেলেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের এই কণ্ঠসৈনিক।
অন্যান্য ক্যাটাগারির পাশাপাশি এবার সঙ্গীতে মোট ৫জনকে একুশে পদক দেয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে জীবিত আছেন একমাত্র কল্যাণী ঘোষ। তার বয়স এখন ৭৮ বছর।
খ্যাতনামা সঙ্গীত শিল্পী কল্যাণী ঘোষের জন্ম ১৯৪৬ সালে চট্টগ্রামের রাউজানে। একই পরিবারে ভাই প্রবাল চৌধুরী ও বোন উমা খানেরও সঙ্গীত শিল্পী হিসেবে রয়েছে যথেষ্ট সুনাম। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় তার সঙ্গীত উজ্জীবিত করেছিলেন মুক্তিযোদ্ধাদের। দেশমাতৃকার মুক্তির জন্য সংগ্রামে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন সর্বসাধারণকে।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরুর পর বোরখা পরে মুখে কালি মেখে দুই বছরের সন্তানকে কোলে করে দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে রামগড় সীমান্ত পার হয়ে চলে গিয়েছিলেন প্রতিবেশী দেশ ভারতে। সেখানে যোগ দিয়েছিলেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে। গানের মাধ্যমে সেখানে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত তৈরি ও দেশপ্রেম জাগিয়ে তোলার ক্ষেত্রে যথেষ্ট অবদান ছিল কৃতী এই সঙ্গীতশিল্পীর।
বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারের নিয়মিত শিল্পী ছিলেন কল্যাণী ঘোষ। বাংলা একাডেমিতেও কাজ করেছেন দীর্ঘদিন। ২০০৫ সালে বাংলা একাডেমি থেকে উপপরিচালক হিসেবে অবসরে যান তিনি।