জায়েদ খানের পিছু পিছু ঘুরেও বই পায়নি প্রকাশক!

অনলাইন ডেস্ক

চলছে বাংলা একাডেমি আয়োজিত অমর একুশে বইমেলা ২০২৪। প্রতি বছর মেলায় কোনো না কোনো আলোচিত-সমালোচিত ব্যক্তির বই বের হয়। কখনও সোশ্যাল ইনফ্লুয়েন্সার, কখনো খেলোয়াড়, অভিনেতা, গায়ক কিংবা ভাইরাল কেউ বই করেন। আর তা নিয়ে হয় বিতর্ক।

এবারও বইমেলায় এসেছে ভাইরাল দম্পত্তি খন্দকার মুশতাক আহমেদ ও তিশার বই। এসেছে ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরীর বই। এসব বই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পক্ষে-বিপক্ষে বিতর্কের শেষ নেই। এর মধ্যেই জানা গেল, বই করার অনুরোধ পেয়েছিলেন চিত্রনায়ক জায়েদ খানও।

সম্প্রতি মুশতাক-তিশা দম্পতির বই করা প্রসঙ্গে মুখে খোলেন চিত্রনায়ক। বলেন, শুধু মুশতাক-তিশার সমালোচনা করলেই হবে না, খোঁজ নিন তাদের বই কারা বের করেছে। তারাও দোষী। কারণ কেউ ভাইরাল হলেই এসব প্রকাশনী তাদের বাড়ি চলে যায়। নানা প্রলোভন দেখিয়ে বই প্রকাশ করান।

একপর্যায়ে তাকে বলতে শোনা যায়, আমার পেছনে দুইটা প্রকাশনী লেগে ছিল। তারা আমার বই বের করতে চায়। কিন্তু তাদের আমি স্পষ্টভাবে না করে দিয়েছি। কিন্তু কিভাবে না করেছিলেন তিনি?

‘সোনার চর’ খ্যাত এই অভিনেতা বলেন, একটা প্রকাশনী থেকে যোগাযোগ করে বলে, ভাই, আপনার বই করতে চাই। আপনি শুধু বলবেন, আমরাই লিখব। তখন আমার রাগ লেগেছে। আমি ছিলাম আর্টসের ছাত্র। মুখস্থ করেছি আর পরীক্ষার খাতায় লিখেছি। আমাকে তোমরা হুমায়ূন আহমেদ বানাতে চাও? নাকি আমার পরিচিতি কাজে লাগাতে চাও?

উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকার সময় নিয়মিত অমর একুশে বইমেলায় যেতেন জায়েদ খান। বই কিনতেন, লেখকদের পেলে অটোগ্রাফ নিতেন। তার মতে, এখন যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে তারা মেলায় গিয়ে দেখে ভাইরালদের বই। এতে তারা কী শিক্ষা পাবে? ‘অন্তরজ্বালা’ খ্যাত অভিনেতা মনে করেন, বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে মৌসুমী প্রকাশনীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। কারণ তারা শুধু ব্যবসা করতে চায়।

সোস্যাল নেটওয়ার্ক

সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত