- ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে
- বিকেল চারটার দিকে চিনি কারখানায় আগুন লাগে
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী এলাকার এস আলম রিফাইনারি সুগার মিলের আগুন এখনও (রাত সোয়া ১০টা) নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের সঙ্গে আগুন নেভাতে যোগ দিয়েছে বাংলাদেশ বিমান, নৌ ও সেনাবাহিনীর দল। এরই মধ্য ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিস ছাড়াও কাজ করছে কোস্টগার্ডের ফায়ার ইউনিট।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, “আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজে যোগ দিয়েছে বাংলাদেশ বিমান, নৌ ও সেনাবাহিনীর দল। এছাড়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে র্যাব ও পুলিশের বিপুল সংখ্যক সদস্য মোতায়েন আছে। আগুন এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। কারণ জানতে সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে প্রধান করা হয়েছে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে। এতে ফায়ার সার্ভিসসহ অন্যান্য সংস্থার প্রতিনিধিরা আছেন। কমিটিকে আগামী তিন দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।”
চট্টগ্রাম বিভাগীয় ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক আবদুল মালেক বলেন, “বিকেল ৩টা ৫৩ মিনিটে এস আলম গ্রুপের সুগার মিলে আগুন লাগে। নিয়ন্ত্রণে আগ্রাবাদ, লামারবাজার, চন্দনপুরা, কালুরঘাট, কর্ণফুলী স্টেশনের ১৫টি ইউনিট যৌথভাবে কাজ করছে।”
ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মো. আবদুল মালেক বলেন, “রাত সাড়ে ৭টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ শুরু করে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী। পরে যোগ দেয় নৌবাহিনীর একটি দলও। রাত ৯টার দিকে যুক্ত হয় সেনাবাহিনীর একটি দল। সবাই যৌথভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালাচ্ছে।”
এস আলম গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক সুব্রত কুমার ভৌমিক জানান, রমজানের জন্য এক লাখ মেট্রিক টন অপরিশোধিত চিনি মজুত করা হয়েছিল। এই চিনি ব্রাজিল থেকে আমদানি করা হয়েছিল। আগুনের পরিস্থিতি দেখে বোঝা যাচ্ছে চিনি আর অবশিষ্ট নেই। ফলে রমজানে আমাদের পক্ষে বাজারে চিনি দেওয়া সম্ভব হবে না।
সোমবার বিকেল ৩টা ৫৩ মিনিটে নগরীর কর্ণফুলী উপজেলার মইজ্যারটেক এলাকার এই কারখানায় আগুন লাগে।