সকাল আটটা থেকে শুরু হওয়া ভোট বিরতিহীনভাবে চলবে বিকেল চারটা পর্যন্ত। এ ভোটে প্রতিনিধি বাছাইয়ে মত দেবেন এক কোটি ৪৩ লাখের বেশি ভোটার।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে ৬০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে বুধবার।
সকাল আটটা থেকে শুরু হওয়া ভোট বিরতিহীনভাবে চলবে বিকেল চারটা পর্যন্ত।
এ ভোটে প্রতিনিধি বাছাইয়ে মত দেবেন এক কোটি ৪৩ লাখের বেশি ভোটার।
ভোট উপলক্ষে সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচার সোমবার মধ্যরাতে শেষ হয়। প্রচারের শেষ দিনে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সক্রিয় ছিলেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। ছুটেছেন প্রার্থীদের দ্বারে দ্বারে; দিয়েছেন বিভিন্ন ধরনের প্রতিশ্রুতি।
সোমবার (৩ জুন) রাত ১২টা থেকে ৬ জুন রাত ১২টা পর্যন্ত নির্বাচনি এলাকাগুলোতে ট্যাক্সি, ক্যাব, পিকআপ, মাইক্রোবাস ও ট্রাক চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। মোটরসাইকেল চলাচলের ওপরও তিন দিনের নিষেধাজ্ঞা দেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এদিকে চতুর্থ ধাপে ৬৬ উপজেলায় ভোটগ্রহণের কথা থাকলেও মৃত্যু/মামলাজনিত কারণে ছয় উপজেলায় ভোট স্থগিত করে ইসি। ফলে এ ধাপে ৬০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হচ্ছে।
এসব উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন সব প্রস্তুতি নিয়েছে।
নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার সুবিধার্থে উচ্চ পর্যায়ের একটি মনিটরিং সেল গঠন করে ইসি। এ সেলে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং সংস্থার প্রতিনিধিদেরও রাখা হয়েছে।
এ ধাপে সারা দেশে ৬০টি উপজেলার মধ্যে ছয়টিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে।
দুর্গম ও উপকূলীয় অঞ্চল বিবেচনায় ১৯৭ কেন্দ্রে মঙ্গলবারই ব্যালট পাঠানো হয়। বাকি চার হাজার ৯৪৭টি কেন্দ্রে ব্যালট পৌঁছায় বুধবার সকালে। সব মিলিয়ে এ দফায় ভোট কেন্দ্র পাঁচ হাজার ১৪৪টি।
নির্বাচন উপলক্ষে মাঠে নেমেছে পুলিশ, বিজিবি, র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সদস্য। সমতলে সাধারণ ভোটকেন্দ্রে ১৭ জন এবং ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে মোতায়েন আছে ১৯ জনের ফোর্স।
দুর্গম ও পার্বত্য এলাকায় এই সংখ্যা আরও বেশি। এ ছাড়া নির্বাচনি আচরণবিধি নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি ইউনিয়নে আছেন একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
ইসি সূত্রে জানা যায়, চতুর্থ ধাপের নির্বাচনের সব প্রস্তুতি চূড়ান্ত। সোমবার থেকে প্রত্যেক উপজেলায় একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন। ভোটের আগে-পরে মোট পাঁচ দিনের জন্য তারা দায়িত্ব পালন করবেন। এ ছাড়া মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্সের সঙ্গে বিশেষ করে বিজিবির প্রতিটি মোবাইল টিমের সঙ্গে একজন করে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন।
ইসি সূত্র আরও জানায়, ২৪ এপ্রিল চতুর্থ ধাপের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। তফসিল অনুযায়ী ১৯ মে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের নির্ধারিত সময় শেষে চূড়ান্ত হয় ৭২১ জন প্রার্থী। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ২৫১ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৫৬ জন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২০৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বী। ২০ মে প্রতীক বরাদ্দ পেয়েই নির্বাচনের প্রচার শুরু করেন প্রার্থীরা।
এরই মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন পাঁচজন প্রার্থী। তাদের মধ্যে একজন চেয়ারম্যান, তিনজন ভাইস চেয়ারম্যান ও একজন নারী ভাইস চেয়ারম্যান রয়েছেন।
এবার চার ধাপে উপজেলার ভোট হচ্ছে। এর মধ্যে ৮ মে প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলায় ভোট হয়। পরবর্তী সময়ে দ্বিতীয় ধাপে ১৫৯ উপজেলার ভোটগ্রহণ হয় ২১ মে।
তৃতীয় ধাপের ১১২ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হয় ২৯ মে। চতুর্থ ধাপে ৬০ উপজেলায় ভোট হচ্ছে বুধবার।
আইনি জটিলতার কারণে কিছু উপজেলার ভোট স্থগিত রাখা হয়েছে।