চট্টগ্রামের ফিরিঙ্গি বাজার এলাকায় ইহুদি ইজিকেল পরিবারের সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেছে। ইতিহাসবিদরা জানান, ১৯৩০ সাল পর্যন্ত ডেভিড ইজিকেলের পরিবার সেখানে বাস করতেন। পরে ভারতের কলকাতা ও যুক্তরাজ্যের লন্ডনসহ বিভিন্ন শহরে চলে যায় পরিবারটি। সম্প্রতি ইজিকেলের সম্পদ নিয়ে হাইকোর্টের মামলার সূত্র ধরে অনুসন্ধানে এসব বেরিয়ে আসে।
ন্যান্সি নেভিনসন যুক্তরাজ্যের একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী। গালিভার’স ট্রাভেলস, জিসাস অব নাজেরাত, এস ও এস টাইটানিকের মত সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। ২০১২ সালে ৯৩ বছর বয়সে তিনি মারা যান।
ইতিহাস ঘেঁটে দেখা যায়, ন্যান্সি নেভিনসন জন্ম নেন ১৯১৮ সালে বাংলাদেশের চট্টগ্রামে। তার বাবা ডেভিস ইজিকেল ছিলেন ইহুদি ধর্মাবলম্বি। চট্টগ্রামের ফিরিঙ্গি বাজারের আলকরন এলাকায় এখনো তার চিহ্ন রয়েছে।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘এটা ১০০ বছর আগের একটি সম্পত্তি, এটার মালিক একটি ইহুদি পরিবার।’
স্থানীয়দের দাবি, ১৯৩০ সালে ডেভিস ইজিকেলের পরিবার বাংলাদেশ ছাড়লেও এখনো তারাই এই সম্পদের মালিক। জানা গেল, ৯৪ বছর ধরে এই ভবনে ব্যবসা করে সরকারকে ভাড়া দিচ্ছেন ভাড়াটিয়ারা।
ভবনটিতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করা এক বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যবসায়ী বলেন, ‘আগে ৫ টাকা ভাড়া ছিল। পর্যায়ক্রমে বাড়তে বাড়তে দেড়শ টাকা হলো। আমি ১৬০ টাকা ভাড়াতে ঢুকেছি এখন ১ লাখ টাকা ভাড়া দেই।’
ইতিহাসবিদরা স্বাক্ষ্য দিলেন, উনবিংশ শতাব্দিতে কোলকাতা থেকে বেশ কয়েকটি বাগদাদি ইহুদি পরিবার ঢাকা ও রাজশাহীতে আসে। তারা সেখানে পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেন। অনেকের ধারণা, বন্দরনগরী চট্টগ্রামেও তারা অবস্থান করতে পারেন।
ইতিহাসবিদ মুনতাসীর মামুন বলেন, ‘প্রথমে তারা কোলকাতায় এসেছেন। কোলকাতা থেকে তারা চট্টগ্রামে আসতে পারেন বাণিজ্যের কারণে। হয়ত চট্টগ্রামে বসতিটা বেশি ছিল ঢাকার চেয়ে। বন্দরের সুবিধার জন্য এখানে বাণিজ্যের সুবিধাটা বেশি ছিল।’
তবে ইতিহাসবিদরা বলছেন, অতীতে বাস করা ইহুদিদের কোনো উত্তরাধিকার এখন এদেশে নেই।