- গভীর নিম্নচাপটি শনিবার সন্ধ্যায় ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে ধারণা করছেন আবহাওয়াবিদেরা
ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, খুলনা, বরগুনা, পটুয়াখালী ও ভোলা জেলাকে বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। ঘূর্ণিঝড় নিয়ে এ পর্যন্ত প্রাপ্ত পূর্বাভাস ও ভূমি অতিক্রমের সম্ভাব্য এলাকার ভিত্তিতে এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (২৫ মে) দুপুরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের এক সভায় এ নির্দেশনা দেওয়ার কথা জানান প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান।
সভা শেষে ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, “আমরা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোর জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের সঙ্গে কথা বলে স্থানীয়ভাবে প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি। উপকূলবর্তী সব জেলাকে ঘূর্ণিঝড়ের জন্য প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।”
তিনি বলেন, “এ পর্যন্ত প্রাপ্ত পূর্বাভাস ও সম্ভাব্য ভূমি অতিক্রম এলাকার ভিত্তিতে সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, খুলনা, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা জেলাকে অধিকতর প্রস্তুত থাকার জন্য বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”
গতকাল শুক্রবার রাতে গভীর নিম্নচাপ সৃষ্টির কথা জানায় আবহাওয়া অধিদপ্তর। শনিবার সন্ধ্যায় এ গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে ধারণা করছেন আবহাওয়াবিদেরা।
এ বিষয়ে আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন বলেন, “বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি শনিবার মধ্যরাতেই ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।”
ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে এর নাম হবে “রেমাল”। এ নাম প্রস্তাব করেছে ওমান। আরবিতে এর অর্থ “বালি”।
ঘূর্ণিঝড় প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী মহিববুর বলেন, “বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর, ভারতের আবহাওয়া অফিস, চীনের আবহাওয়া অফিস, জাপানের আবহাওয়া অফিস এবং পৃথিবীর অন্যান্য দেশের সঙ্গে সমন্বয় রেখে আমরা বুঝতে পেরেছি, ঘূর্ণিঝড়টি আসন্ন। এখন চলছে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত। এটা সন্ধ্যা নাগাদ বা রাতে ৪-এর উপরে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। রাতে বিপদের পর্যায়ে চলে যেতে পারে। সেটা মাথায় রেখে সেইভাবে আমরা সর্বাত্মক প্রস্তুতি কাজ শুরু করে দিয়েছি।”
ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতির অংশ হিসেবে সভায় কয়েকটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেগুলো হলো আগাম সতর্কতার বিজ্ঞপ্তি প্রচার ও জনগণকে সচেতন করা, আগাম মানবিক কার্যাবলি গ্রহণ করা, মাঠ প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় ও বিভিন্ন পর্যায়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটিসমূহের সভা অনুষ্ঠান, সব পর্যায়ে নিয়ন্ত্রণকক্ষ খোলা, আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত করা, আশ্রয়কেন্দ্রে শুকনা খাবার, শিশু খাদ্য এবং গো-খাদ্যের ব্যবস্থা করা, জনগণকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনার বিষয়ে প্রস্তুতি গ্রহণ।
দুর্যোগ তথ্য পাওয়ার জন্য টোল ফ্রি ১০৯০ ব্যবহারের কথা বলা হয় সভায়।