গাজায় গণহত্যা চালিয়ে বিশ্বের ৫ম সুখী দেশ ইসরায়েল

অনলাইন ডেস্ক

  • ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট ২০২৪ এর তালিকায় পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে দখলদার দেশটি
  • অথচ গত পাঁচ মাস ধরে এই সুখী ও উন্নত দেশের অব্যাহত হামলায় নিষ্পেষিত গাজার বাসিন্দারা

 

গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে হামাসের হামলার জেরে অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় নির্বিচারে হামলা ও হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল।

ইসরায়েলের হামলা ও অবরোধে চরম মানবিক সংকটে পড়েছে উপত্যকাটির লাখ লাখ মানুষ। খাদ্য সংকটে দেখা দিয়েছে চরম দুর্ভিক্ষ। যার দরুন প্রতিনিয়ত অনাহারে, অপুষ্টিতে মারা যাচ্ছে নিষ্পাপ ও কোমলমতি শিশুরা।

যুগের পর যুগ ফিলিস্তিনিদের ওপর অত্যাচার করা, তাদের ভূখণ্ড দখল করা, ফিলিস্তিনিদের ওপর গণহত্যা চালানো ইসরায়েলই আজ বিশ্বের অন্যতম সুখী দেশ। ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট ২০২৪ এর তালিকায় পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে দখলদার দেশটি।

এর আগে গত বছর তালিকার চতুর্থ অবস্থানে ছিল ইসরায়েল।

দেশভিত্তিক মানুষের ২০২১ থেকে ২০২৩ সালের তিন বছরের গড় জীবনযাপনের ওপর মূল্যায়ন করে এ তালিকা করা হয়েছে। এছাড়া দেশের নাগরিকদের মাথাপিছু আয়, জিডিপি, সামাজিক অবস্থা, ব্যক্তি স্বাধীনতা এবং দুর্নীতির মাত্রা বিবেচনা করা হয় এই তালিকা করার সময়।

ইসরায়েল সুখী দেশের তালিকায় থাকার অন্যতম কারণ হিসেবে ধরা হয় দেশটির নাগরিকদের উচ্চ আয় ও সুনিশ্চিত মানবাধিকার এবং ইউরোপের ন্যায় বিলাসবহুল জীবনযাপন, এই দেশকে বিশ্বের অন্যতম সুখী দেশে পরিণত করেছে।

ইসরায়েলের নাগরিকদের উন্নত এবং বিলাসবহুল জীবনযাপন ও ইসরায়েলের এতটা শক্তির পেছনে পশ্চিমা বিশ্ব, বিশেষত আমেরিকার একটা বড় অবদান আছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে আমেরিকার বৈদেশিক সহায়তার সবচেয়ে বড় অংশ পেয়ে আসছে ইসরায়েল।

অথচ গত পাঁচ মাস ধরে এই সুখী ও উন্নত দেশের অব্যাহত হামলায় নিষ্পেষিত গাজার বাসিন্দারা। সেখানকার সব মানুষ খাদ্য সহায়তার ওপর নির্ভর করে বেঁচে থাকলেও বাস্তবিক অর্থে ত্রাণ ও সহায়তাও আটকে দিচ্ছে ইসরায়েল।

পবিত্র রমজান মাসে খাদ্য সংকটে ঘাস খেয়ে রোজা রাখছেন উপত্যকাটির বাসিন্দারা। প্রতিটি হাসপাতাল পূর্ণ হচ্ছে অপুষ্টিতে আক্রান্ত মৃত্যুর ঝুঁকিতে থাকা শিশু দিয়ে।

গাজায় ২৮০৭ গণহত্যা, মৃত্যু বেড়ে ৩১৮১৯গাজায় ২৮০৭ গণহত্যা, মৃত্যু বেড়ে ৩১৮১৯
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৩১ হাজার ৮১৯ জন এবং আহত হয়েছেন ৭৩ হাজার ৯৩৪ জন। নিহতদের মধ্যে ১৩ হাজারের বেশিই শিশু।

সোস্যাল নেটওয়ার্ক

সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত