রাজশাহী সেনানিবাসে দ্য বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের তৃতীয় বীর পুনর্মিলনী উপলক্ষে শনিবার আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নে আওয়ামী লীগ সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পরে সেনাবাহিনীতে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক পদাতিক ডিভিশন, ব্রিগেড, ইউনিট, প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে এবং আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন আমরা সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলার পদক্ষেপ হাতে নিয়েছি। কাজেই আমরা চাই আমাদের এই সশস্ত্র বাহিনী দেশের যেকোনো পরিস্থিতিতে মোকাবিলা করার উপযুক্ত হয়ে গড়ে তুলবে।’
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলার পদক্ষেপ নিয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সশস্ত্র বাহিনীকে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত হতে হবে।
রাজশাহী সেনানিবাসে দ্য বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের তৃতীয় বীর পুনর্মিলনী উপলক্ষে শনিবার আয়োজিত অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
দেশের সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটি বিধ্বস্ত দেশ, রিজার্ভ মানি নেই। কারেন্সি, নোট নেই। একটি বছর কোনো ফসল হয়নি। তার পরেও স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য আমাদের সশস্ত্র বাহিনী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবই গড়ে তোলেন এবং তখনই তিনি ১৯৭২ সালে কুমিল্লায় মিলিটারি একাডেমি গড়ে তোলেন এবং কম্বাইন্ড আর্মস স্কুল, ট্রেনিং সেন্টারসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন।
‘তিনি একটি প্রতিরক্ষা নীতিমালা প্রণয়ন করে যান ১৯৭৪ সালে। তারই ভিত্তিতে আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর আমরা আমাদের ফোর্সেস গোল-২০৩০ প্রণয়ন করেছি, প্রতিরক্ষা নীতিমালা-২০১৮ প্রণয়ন করেছি। সশস্ত্র বাহিনী ধারাবাহিকভাবে উন্নতি করে যাচ্ছে।’
সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নে আওয়ামী লীগ সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পরে সেনাবাহিনীতে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক পদাতিক ডিভিশন, ব্রিগেড, ইউনিট, প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে এবং আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন আমরা সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলার পদক্ষেপ হাতে নিয়েছি। কাজেই আমরা চাই আমাদের এই সশস্ত্র বাহিনী দেশের যেকোনো পরিস্থিতিতে মোকাবিলা করার উপযুক্ত হয়ে গড়ে তুলবে। আমি ধন্যবাদ জানাই, তারা প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে শুরু করে যেকোনো ক্ষেত্রেই আমাদের সশস্ত্র বাহিনী জনগণের পাশে দাঁড়ায়।
‘শুধু তাই না, দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্যও ব্যাপকভাবে আমরা কাজ করে যাচ্ছি এবং আমাদের সশস্ত্র বাহিনী সেভাবেই মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে দেশের উন্নয়নে তারা অবদান রেখে যাচ্ছেন। কাজেই এভাবে আমরা সকলে এক হয়ে আমাদের দেশটাকে গড়ে তুলব, সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব—এটাই আমাদের লক্ষ্য।’