তৃতীয় বিয়ে করেছেন পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক। গেলো মাসে শ্রীময়ী চট্টরাজকে বিয়ে করলেও গতকাল ছিলো তাদের বিয়ের রিসেপশন পার্টি। সবকিছুই ঠিক ছিলো। কিন্তু বিপত্তি বাধলো একটি নির্দেশনা ঘিরে। যা নিয়ে বুধবার সকাল থেকেই টলিপাড়া সরগরম।
দাওয়াত কার্ডে লিখা ছিলো, ‘সাংবাদিক, ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী এবং গাড়ির চালকের অনুষ্ঠানের প্রবেশ নিষেধ।’ এই নির্দেশনা নিয়ে জিতু কামাল, শ্রীলেখা মিত্র, পরিচালক তথাগত মুখোপাধ্যায়সহ কলকাতার একাধিক বিশিষ্টজন এই প্রসঙ্গে কাঞ্চন-শ্রীময়ীর রুচিবোধের সমালোচনাও করেছেন।
ইন্ডাস্ট্রিতে কাঞ্চনের দীর্ঘ দিনের বন্ধু রুদ্রনীল ঘোষ। বুধবার বন্ধুর রিসেপশন পার্টিতে তিনি নিমন্ত্রিত ছিলেন। কিন্তু কাজের ব্যস্ততায় উপস্থিত থাকতে পারেননি। রুদ্রনীল বন্ধুর বিয়ের তিনি বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। কিন্তু কাঞ্চনকে আমি যতটা চিনি, তাতে আমার মনে হয় এটা ওর কাজ না-ও হতে পারে। কারণ সাংবাদিকদের ও যথেষ্ট সম্মান করে। এমনকি এক সময়ে ওর গাড়িচালককেও দেখেছি কাঞ্চনের সঙ্গে একই খাবার খেতে। বাঙালি পরিবারে বিয়ের অনুষ্ঠানের দায়িত্ব সকলে মিলে নিয়ে থাকেন। তাই অজান্তে কারও তরফে এই ভুল হয়েও থাকতে পারে। কাঞ্চনের এটা প্রথম বিয়ে নয়। তাই উপযাচক হয়ে কারও হয়তো মনে হতেই পারে যে এই বিয়েকে ঘিরে গসিপ হবে। দায়িত্ব নিয়ে ওই ব্যক্তি একটা বড় ভুল করে বসেছেন।’
বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রাবন্তীও। অনুষ্ঠানে তিনি নিজেও ব্যক্তিগত দেহরক্ষী নিয়ে যাননি। কিন্তু অনুষ্ঠানে যে বেশ কয়েকজন দেহরক্ষী ছিলেন তা তার চোখে পড়েছে।
শ্রাবন্তীর কথায়, ‘আমি আধাঘণ্টার জন্য গিয়েছিলাম। আমি কিন্তু দেখেছি কাঞ্চনদা এবং শ্রীময়ীর সুন্দর আতিথেয়তা। প্রত্যেককে সম্মান দিয়ে ওরা আপ্যায়ন করেছেন। জেনে বুঝে কাঞ্চনদার মতো সুন্দর একটা মানুষ এই ভুল করতে পারেন না। এটা নিশ্চয়ই অন্য কেউ করেছেন।’