এস আলম গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক সুব্রত কুমার ভৌমিক বলেন, ‘গোডাউনে ব্রাজিল থেকে আমদানি করা এক লাখ টন চিনির কাঁচামাল ছিল। এর পুরোটাই পুড়ে গেছে বলে আশঙ্কা করছি। মিল চালু থাকা অবস্থায় আগুন চারদিকে ছড়িয়ে যায়। ভেতরে কেউ আটকা পড়েছে কি না বা কোথা থেকে আগুনের সূত্রপাত তা জানতে পারিনি।’
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানা এলাকায় এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজের ভয়াবহ আগুনে একটি গুদামে রাখা এক লাখ টন অপরিশোধিত চিনি (র সুগার) পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ফায়ার সার্ভিসের ১৪টি ইউনিট সাড়ে তিন ঘণ্টার বেশি সময় চেষ্টা করেও আগুন নেভাতে পারেনি। তারা চেষ্টা করছে আগুন যাতে ছড়িয়ে না পড়ে।
ফায়ার সার্ভিসের আগ্রাবাদ কন্ট্রোল রুম সূত্র জানায়, সোমবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে কর্ণফুলী থানাধীন ইছানগর এলাকায় চিনি মিলটির গোডাউনে আগুন লাগে। ৩টা ৫৩ মিনিটে আগুন লাগার খবর পেয়ে কর্ণফুলী ও আনোয়ারা ফায়ার স্টেশন আগুন নির্বাপণে কাজ করছে।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক আবদুল মালেক বলেন, ‘এস আলম রিফাইন্ড সুগার মিলের পঞ্চম তলায় আগুনের সূত্রপাত হয়। ফায়ার সার্ভিসের ৫টি স্টেশনের ১৪টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। কালো ধোঁয়ায় পুরো এলাকা আচ্ছন্ন হয়ে আছে। বাতাস থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হচ্ছে।’
এস আলম গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক সুব্রত কুমার ভৌমিক বলেন, ‘গোডাউনে ব্রাজিল থেকে আমদানি করা এক লাখ টন চিনির কাঁচামাল ছিল। এর পুরোটাই পুড়ে গেছে বলে আশঙ্কা করছি।
‘মিল চালু থাকা অবস্থায় আগুন চারদিকে ছড়িয়ে যায়। ভেতরে কেউ আটকা পড়েছে কি না বা কোথা থেকে আগুনের সূত্রপাত এর কিছুই জানতে পারিনি। আগুন নির্বাপণে আমরা ফায়ার সার্ভিসকে সহায়তার চেষ্টা করছি।’
এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজের পাওয়ার প্লান্টের সহকারী ফিটার মনির বলেন, ‘ওই গুদামে প্রায় এক লাখ টন অপরিশোধিত চিনি ছিল। এগুলো পুড়ে গেছে। কাছেই পরিশোধিত চিনি আছে আরও কয়েক লাখ টন।’
সূত্র জানায়, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা ও থাইল্যান্ড থেকে চিনির কাঁচামাল এনে এস আলম রিফাইন্ড সুগার মিলসের দুটি প্লান্টে পরিশোধন করা হয়। এর মধ্যে প্লান্ট-১ এর উৎপাদন ক্ষমতা দৈনিক ৯০০ টন এবং প্লান্ট-২ এর উৎপাদন ক্ষমতা ১ হাজার ৬০০ টন। থাইল্যান্ড এবং ফ্রান্সের প্রযুক্তি ও কারিগরি সহায়তায় কারখানাটি পরিচালিত হচ্ছে।