দ্বাদশ জাতীয় সংসদে এবার আলোচনায় উঠে এলো সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সমাজ বিজ্ঞান পাঠ্য বইয়ে ‘শরীফা গল্প’। এই গল্পের দুই লাইনকে ‘বিতর্কিত’ দাবি করেছেন বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ ও জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। তিনি ওই দুই লাইন প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।
রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে তিনি এ দাবি জানান। এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন।
পাঠ্যবইয়ে শরীফার গল্পের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, থার্ড জেন্ডার বা তৃতীয় লিঙ্গ এবং হিজড়ার মধ্যে পার্থ্যক্যটা কী। নিজেকে নিজের জন্মগত লিঙ্গ বাদে অন্য কোনো লিঙ্গ মনে করাটাই ট্রান্সজেন্ডার। বিষয়টি পুরোপুরি মানসিক। হিজড়া যারা তারা হলেন থার্ড জেন্ডার। বিষয়টি জন্মগত, এটি মানসিক ও শারীরিক উভয় ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। তারাই থার্ড জেন্ডার বা তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে পরিচিত। ট্রান্সজেন্ডার শুধুমাত্র পশ্চিমা বিশ্বের একটি শ্রেণির মতবাদ। এটা প্রবর্তিত হয়েছে গতানুগতিক সামাজিক ধারনা অর্থাৎ পরিবার ও ধর্মকে ভেঙে সামাজিক বিশৃঙ্খলা সৃস্টির উদ্দেশ্যে।
তিনি বলেন, ‘সপ্তম শ্রেণির বইয়ের শরীফার গল্পে মাত্র দুইটা লাইন.. ছোটবেলায় সবাই আমাকে ছেলে বলতো, কিন্তু আমি নিজে এক সময় বুঝলাম আমার শরীরটা ছেলের মতো হলেও মনে মনে একজন মেয়ে। এটা হল একটা মানসিক বিষয়। এটাকে অন্তর্ভুক্ত করার যে উদ্দেশ্য সেটা এ সংসদে বলতে চাই না, আপনিও মাননীয় স্পিকার নিজে বোঝেন। এটা যেহেতু ইসলামের সঙ্গে সাংঘর্ষিক তাই দুটো লাইন পরিবর্তন করা হলে এ দেশের মানুষের কোনো আপত্তি থাকবে না।’
শিক্ষামন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে চুন্নু বলেন, শিক্ষামন্ত্রীকে বলবো তিনি যেন বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণভাবে দেখেন। কারণ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এটি নিয়ে উল্টাপল্টা কথাবার্তা হচ্ছে। সামান্য জিনিস যেন বড় না হয়। শিক্ষামন্ত্রী বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখে প্রয়োজনে কনসার্ন লোকের সাথে কথা বলে পাঠ্যপুস্তক থেকে দুইটি লাইন প্রত্যাহার করলে বিতর্ক থাকে না।