বাইডেন বলেন, যদি তারা (ইসরয়েল) রাফাহতে যায়, আমি সেই অস্ত্র সরবরাহ করব না যা রাফাহকে মোকাবিলায় ঐতিহাসিকভাবে ব্যবহার করা হয়েছে।
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকতার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফাতে ইসরায়েলি বাহিনী বড় ধরনের স্থল অভিযান শুরু করলে যুক্তরাষ্ট্র তাদের অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করে দেবে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরায়েলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন।
বাইডেন বলেন, যদি তারা (ইসরয়েল) রাফাহতে যায়, আমি সেই অস্ত্র সরবরাহ করব না যা রাফাহকে মোকাবিলায় ঐতিহাসিকভাবে ব্যবহার করা হয়েছে।
ইসরায়েল নিরাপদ কি না তা তিনি নিশ্চিত করবেন বলেও জানিয়েছেন।
বিবিসি বলছে, তবে যুক্তরাষ্ট্রের এমন দৃঢ় এবং কঠোর অবসান সত্ত্বেও ইসরায়েল রাফাতে একটি বড় আকারের আগ্রাসন চালানোর জন্য প্রস্তুত বলে মনে হচ্ছে।
এর আগে চলতি সপ্তাহেই রাফাতে ইসরায়েলি বাহিনীর সম্ভ্যাব্য হামলার পরিকল্পনা নিয়ে উদ্বেগের প্রেক্ষাপটে একটি বোমার চালান স্থগিত করে যুক্তরাষ্ট্র।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সিবিএস নিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
ওই কর্মকর্তা বলেছেন, ‘আমরা গত সপ্তাহে অস্ত্রের একটি চালান স্থগিত করেছি। এতে ১৮০০টি ২০০০-পাউন্ড (৯০৭ কেজি) ওজনের এবং ৫০০-পাউন্ড (২২৬ কেজি) ওজনের ১৭০০টি বোমা রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা কীভাবে এই চালান নিয়ে এগিয়ে যাব সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেইনি।’
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ওয়াশিংটনের বিরোধিতা সত্ত্বেও ইসরায়েল যখন রাফাতে একটি বড় স্থল অভিযানের দ্বারপ্রান্তে, তখন বাইডেন প্রশাসন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
দক্ষিণ গাজার ঘনবসতিপূর্ণ অংশ রাখা হামাসের শেষ প্রধান শক্ত ঘাঁটি। এ এলাকায় ইসরায়েল হামলা বহু বেসামরিক লোকের প্রাণহানির কারণ হতে পারে।
সাক্ষাৎকারে বাইডেন বলেন, আমরা অস্ত্র এবং আর্টিলারি শেল সরবরাহ করব না। যুক্তরাষ্ট্র রাফার বর্তমান পরিস্থিতিকে স্থল অভিযান হিসেবে সংজ্ঞায়িত করেনি। আমি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এবং যুদ্ধ মন্ত্রিসভাকে স্পষ্ট বলেছি, তারা আমাদের সমর্থন পাবে না, যদি তারা এই এলাকায় যায়।
বাইডেন স্বীকার করেন, যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র ইসরায়েল গাজার বেসামরিক লোকদের হত্যার জন্য ব্যবহার করেছে।
সিএনএন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টর কাছে জানতে চায়, ইসরায়েল ‘রেড লাইন’ অতিক্রম করেছে কি না, জবাবে তিনি বলেন, ‘এখনও না’।
হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, গাজায় চলমান ইসরায়েলি সামরিক হামলায় সাড়ে ৩৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৭৮ হাজারের মতো আহত হয়েছেন। আর হামাসের হামলায় নিহত হয়েছেন এক হাজার ১৩৯ ইসরায়েলি।