উপজেলা চেয়ারম্যান পদে জয়ী এমপি শাজাহান খানের ছেলে

মাদারীপুর প্রতিনিধি

সদর উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আহমেদ আলীর তথ্য অনুযায়ী, আসিবুর রহমান খান আনারস প্রতীকে ভোট পান ৭৫ হাজার ৫৯৪ ভোট। আর পাভেলুর রহমান শফিক খান মটরসাইকেল প্রতীকে পান ৬১ হাজার ৩০৩ ভোট। ভোটের হিসেবে ১৪ হাজার ২৯১ ভোট কম পেয়ে শফিক খান হেরে যান।

মাদারীপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) শাজাহান খানের ছেলে আসিবুর রহমান খান আসিব।

বুধবার রাতে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হন তিনি।

আসিবুর রহমানের কাছে অল্প ভোটের ব্যবধানে হেরেছেন তার চাচা ও শাজাহান খানের চাচাত ভাই সাবেক দুইবারের সাবেক সদর উপজেলা চেয়ারম্যান পাভেলুর রহমান শফিক খান।

সদর উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আহমেদ আলীর তথ্য অনুযায়ী, আসিবুর রহমান খান আনারস প্রতীকে ভোট পান ৭৫ হাজার ৫৯৪ ভোট। আর পাভেলুর রহমান শফিক খান মটরসাইকেল প্রতীকে পান ৬১ হাজার ৩০৩ ভোট। ভোটের হিসেবে ১৪ হাজার ২৯১ ভোট কম পেয়ে শফিক খান হেরে যান।

এবার সদর উপজেলায় দুইজন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।

এ ছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন মনিরুল ইসলাম তুষার ভূইয়া। তিনি তালা প্রতীকে ভোট পান ৬০ হাজার ১০৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছেন উড়োজাহাজ প্রতীকে এইচএম মনিরুজ্জামান আক্তার, তার প্রাপ্ত ভোট ৪৭ হাজার ২০৪।

এ ছাড়া মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে হাঁস প্রতীকে ৫৬ হাজার ১৭১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন ফারিয়া হাছান রাখি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছেন ফুটবল প্রতীকে ফারজানা নাজনীন। তার প্রাপ্ত ভোট ৪২ হাজার ১৯০ ভোট।

বিজয়ী হওয়ার পর নিজ বাস ভবনের সামনে আসিবুর রহমান খান বলেন, ‘আপনার আমাকে যে পরিমাণ ভালোবেসে এতো ভোট দিয়েছেন, তার ঋণ আমি কোনো দিনই শোধ করতে পারব না। আমার এ বিজয় জনগণের বিজয়, আমার কোনো বিজয় না। আমি আপনাদের নিয়েই উপজেলাকে সুন্দর করে সাজাব।’

ছেলে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান হওয়ায় শাজাহান খান বলেন, ‘আমার পরিবারের পাঁচজন মুক্তিযোদ্ধা রয়েছে। এমন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত পরিবারকে যারা ছোট করতে চেয়েছে, তাদের উপযুক্ত শাস্তি দিয়েছে মাদারীপুরের জনগণ।

‘আর আসিব খানকে আমি জনগণের জন্য উৎসর্গ করে দিয়েছি। যে কারণে জনগণ তাকে পুরস্কার দিয়েছে। যারা আমাদের ক্ষতি করেছে, আমি তাদের ক্ষতি করতে চাই না।’

তবে ফলাফলের বিষয় নিয়ে পাভেলুর রহমান শফিক খানের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।

প্রসঙ্গত, উপজেলা নির্বাচনে এবার মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনদের প্রার্থী না হতে কেন্দ্রীয়ভাবে নির্দেশনা দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। দলের পক্ষে জানানো হয়, যারা দলীয় সিদ্ধান্ত মানবে না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সর্বশেষ গত ৩ মে সংসদ সদস্য ও মন্ত্রীদের প্রভাব বিস্তার না করতে কঠোর নির্দেশনা দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোস্যাল নেটওয়ার্ক

সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত