রাতে দেরিতে ঘুমাতে গেলে ফজরে উঠতে সমস্যা হয়। এটা অস্বাভাবিক নয়। ঘুম থেকে না ওঠার কারণে ফজরের নামাজ আদায় করতে কারও কারও সমস্যা হয়। কীভাবে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব। ফজরের নামাজের জন্য জেগে ওঠার কয়েকটি কৌশল এখানে বলা হলো।
ঘুমানোর আগে অজু করা:
ঘুমানোর আগে অজু করতে হবে। ঘুমাতে হবে ডানদিকে কাত হয়ে। ডান হাত গালের নিচে রাখা ভালো। ঘুমানোর আগে এই দোয়া করা ভালো, ‘হে আল্লাহ আমার জন্য ফজরের নামাজকে তুমি সহজ করো, কবুল করো।
তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যাওয়া:
বেশি রাত না জাগা স্বাস্থ্যের জন্যই ভালো। রাত জাগার যুক্তিসংগত কারণ না থাকলে সেটাই উত্তম। ঘুমের আগে মোবাইলসহ সব ধরনের ডিভাইস থেকে নিজেকে দূরে রাখলে সময়মতো ঘুমানো সহজ হয়।
অ্যাপ ব্যবহার:
গুগল প্লে–স্টোরে ব্যবহারযোগ্য অনেক ধরনের অ্যাপ পাওয়া যায়। সময়মতো ওঠার জন্য কোনো অ্যালার্ম অ্যাপ ব্যবহার করা যায়।
ঘুমানোর আগে কিছু আমল:
ঘুমানোর আগে কিছু আমল করে নেওয়া ভালো। আমলগুলো নিজের মতো তৈরি করে নেওয়া যায়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ঘুমানোর আগে পড়া যেতে পারে সুরা ফাতিহা, দরুদ শরিফ, আয়াতুল কুরসি, সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক, সুরা কাফিরুন, সুরা নাস, সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত, সুরা হাশরের শেষ আয়াত, সুরা আল ইমরানের আয়াত, সুরা মুলক ইত্যাদি
ঘুমের চক্র খেয়াল করা:
প্রত্যেক মানুষের ঘুমের একটা নিজস্ব অভ্যাস আছে। কেউ ঘুমান ৮ ঘণ্টা, কেউ ৭ ঘণ্টা, কারও বা ৬ বা ৫ ঘণ্টা। ধরা যাক, ফজরের নামাজের জন্য ভোর পাঁচটায় উঠতে হবে, তাহলে ঘুমের ধরন অনুযায়ী ততক্ষণ আগে ঘুমাতে পাওয়ার অভ্যাস করুন।
বিতরের নামাজের পর দোয়া করা:
বিতরের নামাজের পর আল্লাহর কাছে দোয়া করতে পারেন। বিশ্বাস রাখতে হবে, আল্লাহ আপনাকে ঘুম থেকে জেগে ওঠাবেন।
কোরআন পড়ে ঘুমাতে যাওয়া:
ঘুমাতে যাওয়ার আগে পবিত্র কোরআন থেকে সুরা পড়া যায়। হাদিসে সুরা মুলকসহ অন্যান্য সুরা পড়ার পরামর্শ আছে।
কিয়ামতের কথা স্মরণ করা:
ভালো কাজ করলে কিয়ামতের দিন পুরস্কৃত হবেন। আল্লাহর কথা মেনে চললে দুনিয়া ও আখেরাতে সফল হতে পারবেন।