ইরানের সম্ভাব্য ‘ক্ষেপণাস্ত্র হামলা’ মোকাবিলায় প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) সব যোদ্ধা ইউনিটের ছুটি সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে ‘উচ্চ সতর্ক’ ইসরায়েল। সেই সঙ্গে জোরদার করেছে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও। সম্প্রতি সিরিয়ায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ইরানের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কমান্ডার নিহত হওয়ার ঘটনায় এ পদক্ষেপ নিয়েছে তেল আবিব।
গত সোমবার দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) জ্যেষ্ঠ কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ রেজা জাহেদি ছাড়াও অন্তত ১১ জন নিহত হন। তাদের মধ্যে ইরানের আরেক জেনারেলসহ ওই বাহিনীর ছয় সদস্য আছেন। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে আইডিএফ সব যোদ্ধা ইউনিটের ছুটি সাময়িকভাবে স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আইডিএফ এখন যুদ্ধপরিস্থিতিতে আছে। প্রয়োজন অনুযায়ী সেনা মোতায়েনের বিষয়টি মূল্যায়ন কার্যক্রমের অধীনে থাকবে।
এর আগে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমির-আবদুল্লাহিয়ান বলেন, আমরা মনে করি, ইসরায়েলের এই আগ্রাসন সব কূটনীতিক নিয়মনীতি ও আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে। গাজায় ধারাবাহিক ব্যর্থতা ও ইহুদিবাদী লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়ে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু পুরোপুরি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন।
সিরিয়ায় নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত হোসেন আকবরি বলেন, হামলার জবাবে ইরানের প্রতিক্রিয়া হবে ‘একই মাত্রার ও একই রকম কঠোর। এদিকে কূটনৈতিক মিশনে হামলার ঘটনায় নিজেদের সংশ্লিষ্টতার কথা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেনি ইসরায়েল। তবে ইতিমধ্যে এ ঘটনায় মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি আরও অস্থিতিশীল হয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এ বিষয়ে হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির কেনেডি স্কুলের বেলফার সেন্টারের জ্যেষ্ঠ ফেলো ইয়াদলিন বলেন, ইরান যদি কাল (আল কুদস দিবসে) হামলা চালায়, তাতে আমি অবাক হব না। আতঙ্কিত হবেন না। আশ্রয়কেন্দ্রে ছোটারও দরকার নেই। সতর্ক থাকুন এবং হামলার পরিণতির ওপর নির্ভর করে এটি আরও বাড়তে পারে।