* গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ তীরের বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে প্রায় ১৪ যুগলের যৌতুকবিহীন বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।
বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে ১৪ যুগলের যৌতুকবিহীন বিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রাশেদ নামে এক শ্রীলঙ্কান নাগরিকও রয়েছেন। তিনি বাংলাদেশের মেয়ে শারমিন আক্তারকে যৌতুকবিহীন বিয়ে করেন।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বাদ আসর ইজতেমার বয়ান মঞ্চের পাশেই যৌতুকবিহীন বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের মিডিয়া সমন্বয়ক মোহাম্মদ সায়েম। এর আগে ইজতেমার প্রথম পর্বে (৩ ফেব্রুয়ারি) ৭২ দম্পতির যৌতুকবিহীন বিয়ে দেওয়া হয়।
সমন্বয়ক মোহাম্মদ সায়েম জানান, ভারতের দিল্লি মারকাজের মাওলানা সাদ কান্ধলভীর বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ ময়দানে মাশোয়ারার কামরায় যৌতুকবিহীন বিয়ে পড়ান। বিয়েতে মোহরানা ধার্য করা হয় “মোহর ফাতেমির” নিয়মানুযায়ী। এ নিয়ম অনুযায়ী মোহরানা ধরা হয় ১৫০ তোলা রূপা বা এর সমমূল্যের অর্থ।
ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের আয়োজকেরা জানান, বর-কনের সম্মতিতে দুই পক্ষের লোকজনের উপস্থিতিতে এসব বিয়ে সম্পন্ন হয়। বরপক্ষের অভিভাবকসহ বর ও তার সঙ্গে দুই সাক্ষী এবং কনে পক্ষের অভিভাবক ও দুই সাক্ষী ওই বিয়েতে উপস্থিত থাকেন। বিয়ের পর মঞ্চ থেকে বিয়ে সংক্রান্ত এক বয়ান দেন ভারতের দিল্লি মারকাজের মাওলানা সাদ কান্ধলভীর বড় ছেলে ইউসুফ বিন সাদ।
বয়ানে ইউসুফ সাদ বলেন, “বিবাহ হলো একটা ইবাদত। দুনিয়ার মধ্যে সবচেয়ে পবিত্র বন্ধন হল বিবাহ। তবে বিবাহ হতে হবে সুন্নাহ অনুযায়ী। যে বিবাহে খরচ যত কম হবে তাতে বরকত ও রহমত তত বেশি হবে, বিবাহ সাদাসিধে হলে বিবাহ বরকতময় হয়। বিবাহ যখন দ্বিনের মধ্যে হবে তখন তা সহজ হবে।”
বিয়ের পর মঞ্চের আশপাশের মুসল্লিদের মাঝে খেজুর ছিটিয়ে দেওয়া হয়।