দুই সপ্তাহ আগে স্বামী রকিব সরকারের সঙ্গে বিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়ে তুমুল আলোচনায় অভিনেত্রী মাহিয়া মাহি। বর্তমানে কেমন আছেন মাহি? বিচ্ছেদ, নতুন জীবন, সন্তান, অভিনয় ও রাজনীতি নিয়ে মাহির ভাবনা জেনেছেন একুশে বুলেটিন।
কেমন আছেন? কোথায় আছেন?
আলহামদুলিল্লাহ, ভালো আছি সবার দোয়াতে। এখন (গতকাল) গুলশানের একটা পার্লারে আছি।
চুলের ট্রিটমেন্ট করাতে এসেছি। অনেক দিন ব্যস্ততার কারণে নিজের যত্ন সেভাবে নিতে পারিনি।
একা জীবন কেমন কাটছে?
কই! আমি তো একা নই। আমার সঙ্গে আমার সন্তান ফারিশ আছে।
ও থাকলে জগতে আমার আর কাউকে লাগে না। অনেকে বলেন, বিচ্ছেদের পর মায়েরা সন্তানের ‘সিঙ্গেল মাদার’ হয়ে যান। আমি কথাটার সঙ্গে একমত নই। আমি সব সময় ফারিশের মা ও বাবা হয়ে থাকতে চাই।
আমাদের মাঝখানে আর কোনো তৃতীয় পক্ষ আসুক তা চাই না।
নতুন করে জীবন সাজানোর কথা বলেছিলেন…
মাত্র তো বিচ্ছেদের খবর দিলাম। এরই মধ্যে নতুন জীবনের চিন্তা-ভাবনা করতে গেলে মানুষ তো আমাকে খারাপ ভাববে। আমি তো অতটা খারাপও নই। জীবন জীবনের মতো আপাতত চলতে থাকুক।
একটা ঘোরের মধ্যে ছিলাম। সেই ঘোর কাটিয়ে এখন বাস্তবে ফিরেছি। বরাবরই সৃষ্টিকর্তা আমাকে ভালো-মন্দের তফাত বুঝিয়েছেন সব সময়। হয়তো একটু সময় লেগেছে। সেই ফাঁকে গোছানো ক্যারিয়ার, সাজানো জীবন তছনছ হয়েছে। তবে আবার ফিরতে পেরেছি। এবারও পারব সেই বিশ্বাস আছে।
অনেক দিন ধরেই বলছেন নতুন সিনেমায় আপনাকে দেখা যাবে শিগগিরই। সেটা আসলে কবে নাগাদ?
অনেক প্রস্তাব ছিল আমার কাছে। বড় নির্মাতা ও ভালো প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আমার সঙ্গে কাজ করতে চেয়েছিল। আমি রাজি হলে এ বছর অন্তত পাঁচটি ভালো ছবি করতে পারতাম। কিন্তু সেটা হয়ে ওঠেনি আমার কারণেই। কেন যেন সবাইকে শুধু ‘না’ বলছিলাম। বাছ-বিছার না করেই ফিরিয়ে দিয়েছি সবাইকে। তবে ওই যে বললাম, ঘোর থেকে বাস্তবে ফিরেছি। ভালো প্রস্তাব পেলে আর ফিরিয়ে দেব না। এমনিতে জীবন থেকে অনেকটা সময় চলে গেছে। একজন গ্লামারাস নায়িকার ক্যারিয়ার থাকে ১০ থেকে ১৫ বছর। আমার তো ১০ বছর এরই মধ্যে কেটে গেছে। এখন একের পর এক কাজ করতে চাই। ভালো হলে মাহির মুখ থেকে কেউ ‘না’ শুনতে পাবেন না।
তাহলে রাজনীতি?
অভিনয় ও রাজনীতি সমান্তরাল চলবে। আমি প্রথমে কেন্দ্র থেকে রাজনীতি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। এখন সিদ্ধান্ত বদলেছি। আমার শৈশব-কৈশোরের তানোর থেকে রাজনীতিতে সক্রিয় হব। শুধু অভিনয়ই নয়, রাজনীতির ক্যারিয়ারেও আবার শূন্য থেকে শুরু করতে প্রস্তুত।