ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে মানুষের মনে অনেক প্রশ্ন জেগেছে। সেগুলোর জবাব খুঁজে পাওয়ার জন্যই আপনাদের সঙ্গে বসা। আমাদের নানা মত থাকবে, নানা ধর্ম থাকবে, নানা রীতিনীতি থাকবে; কিন্তু পরিবার একটা। আমরা সবাই একই পরিবারের সদস্য।’
আমরা বাংলাদেশি, আমরা এক পরিবারের সদস্য বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের নানা মত থাকবে, নানা ধর্ম থাকবে, নানা রীতিনীতি থাকবে; কিন্তু পরিবার একটা।’
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বৃহস্পতিবার ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
ড. ইউনূস বলেন, ‘দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে মানুষের মনে অনেক প্রশ্ন জেগেছে। সেগুলোর জবাব খুঁজে পাওয়ার জন্যই আপনাদের সঙ্গে বসা। জুলাই অভ্যুত্থানের পর আগস্টের ৮ তারিখ আমি বিমানবন্দরে সবার কাছে আন্তরিকভাবে একটা আহ্বান জানিয়েছিলাম। সেটা কোনো রাজনৈতিক বা শ্রোতাপ্রিয় বক্তব্য ছিল না।
‘আমি বলেছিলাম- আমরা একটা পরিবার। আমাদের নানা মত থাকবে, নানা ধর্ম থাকবে, নানা রীতিনীতি থাকবে; কিন্তু পরিবার একটা। আমরা সবাই একই পরিবারের সদস্য।’
তিনি বলেন, ‘শত পার্থক্য সত্ত্বেও আমরা কারও শত্রু না। পরস্পরের শত্রু না। আমরা এক জায়গাতে, এক কাতারে ওখানে চলে আসি- যেখানে আমাদের জাতীয়তার প্রশ্ন আছে, পরিচয়ের প্রশ্ন আছে। আমরা বাংলাদেশি, আমরা এক পরিবারের সদস্য।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যখন শপথ গ্রহণ করলাম, শুনলাম যে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার চলছে। এরপরই আমি খোঁজ নেই এবং ঢাকেশ্বরী মন্দিরে চলে যাই। সেখানে আমাকে কিছু দাবি-দাওয়া দেয়া হলো। একটি দাবি হচ্ছে- আমাদের সবার সমান অধিকার। বলার অধিকার, ধর্মের অধিকার ও কাজকর্মের অধিকার। সেগুলো আসবে সংবিধান থেকে এবং রাষ্ট্রের দায়িত্ব সেগুলো নিশ্চিত করা।’
তিনি বলেন, ‘সংবিধান নাগরিককে যে দায়িত্ব দিয়েছে, সেগুলো তার কাছে পৌঁছে দেয়া ও নিশ্চিত করা আমার কাজ। তারপরও শুনলাম যে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা হচ্ছে। তো আমি সবার সঙ্গে বসলাম এবং কথা বললাম যে এখান থেকে কী করে তাদের উদ্ধার করতে পারি?
‘তখন পূজার সময় এলো। আমি মনে করলাম এই সময়ে হামলা হবে। ফলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে, যেন হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর যাতে কোনোরকম হামলা না হয়। এবং সে সময় আমরা নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পেরেছি।’