ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের মধ্যে শুধু লা লিগাতেই গোল লাইন প্রযুক্তি নেই। এ বিষয়ে গত বছরের মে মাসে লা লিগা সভাপতি হাভিয়ের তেবাস বলেছিলেন, “গোল লাইন প্রযুক্তি বেশ ব্যয়বহুল।”
রবিবার (২১ এপ্রিল) রাতে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে বার্সেলোনার একটি সম্ভাব্য গোল প্রযুক্তির অভাবে নির্ণয় করা যায়নি।
ম্যাচে দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বী তখন ১-১ গোলের সমতায়। ২৮ মিনিটে বার্সার কর্নার থেকে লামিনে ইয়ামালের টোকা কোনোমতে ঠেকান রিয়াল মাদ্রিদ গোলকিপার আন্দ্রি লুনিন। ক্যামেরার বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল দেখেও নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলটি পুরোপুরি গোললাইন পেরোনোর আগেই লুনিন ঠেকিয়েছেন কি-না!
ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভিএআর) প্রযুক্তির রায় মেনে গোল দেননি মাঠের রেফারি। ধারাভাষ্যকারেরাও সে সময় গোললাইন প্রযুক্তির অনুপস্থিতি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন।
শেষ পর্যন্ত ৩-২ ব্যবধানে হেরে যাওয়ার পর গোললাইন প্রযুক্তি না থাকা নিয়ে বার্সা গোলকিপার টের স্টেগেন বলেন, “কিছু বলার ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। এটা ফুটবলের জন্যই অস্বস্তিকর। এখানে এত এত টাকা, কিন্তু যেটা গুরুত্বপূর্ণ, সেটার জন্যই নেই। আমি বুঝতে পারছি না, যে প্রযুক্তি অন্যান্য লিগে আছে, আমরা কেন সেটা নিতে পারছি না।”
টের স্টেগেনের কথার সঙ্গে সুর মিলিয়েছেন কোচ জাভিও। তিনি বলেছেন, “আমি ওর সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত। গোললাইন প্রযুক্তি না থাকাটা অস্বস্তিকর।”
গোললাইন প্রযুক্তি না থাকাকে নিজেদের জন্য অবিচার বলেও মন্তব্য করেন বার্সা কোচ। তিনি বলেন, “সবাই দেখেছে, কী হয়েছে। আমি আর কী বলব? লিগ কর্তৃপক্ষ আমাকে শাস্তি দিতে পারে। কিন্তু ছবি তো আছে। আজ মনে হচ্ছে আমরা পুরোপুরি অবিচারের শিকার হয়েছি।”