সোমালি জলদস্যুদের কাছে তিন মাসেরও বেশি বন্দি ছিল এমভি রুয়েন। এরপর ভারতীয় নৌবাহিনীর অভিযানে উদ্ধার হয় এটি। এ সময় গ্রেপ্তার হয় ৩৫ জলদস্যু। আন্তর্জাতিক আইন অনুসরণ করে ভারতে তাদের বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এমভি আবদুল্লাহ নামের বাংলাদেশের পতাকাবাহী চট্টগ্রামের কবির গ্রুপের জাহাজটিও এখন সোমালি দস্যুদের দখলে।
বিবিসি নিউজ সোমালির খবর অনুসারে—বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহতে থাকা জলদস্যুদের সঙ্গে পান্টল্যান্ডের ভূমির লোকেদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করতে অভিযান শুরু করেছে সোমালিয়ার পান্টল্যান্ড পুলিশ। তারা বলছে, জলদস্যুদের আত্মসমর্পণ ছাড়া আর কোনো পথ খোলা নেই।
পুন্টল্যান্ড পুলিশ সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স বলেছে, পান্টল্যান্ড পুলিশ একটি গাড়ি আটক করেছে যেটি আব্দুল্লাহ জাহাজের ভিতরে দস্যুদের জিনিসপত্র পৌঁছে দেওয়ার কাজে নিয়েজিত ছিল। সোমালিয়ার স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল পান্টল্যান্ডের নুগাল পুলিশ বিভাগের কমান্ডারের বরাত দিয়ে বিবিসি সোমালি বলছে— জাহাজটি এখন সোমালিয়ার জিফলের উপকূলীয় এলাকায় রয়েছে।
পুলিশ কমান্ডার মোহাম্মদ আলী আহমেদ মারদুউফ বলেছেন, ‘জলদস্যুদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য আমরা পূর্বাঞ্চলে একটি অভিযান শুরু করেছি, যাতে তারা এই এলাকার ভূমি থেকে আর কোনো সহযোগিতা না পায়।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের পরিকল্পনা হলো, জলদস্যুরা যাতে নিজেদের সংগঠিত করতে না পারে এবং এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে যারা আছে, তারা যাতে তীর থেকে আর কোনো সাহায্য না পায়।’
আলী আহমেদ মারদুউফ বলেন, ‘জাহাজে থাকা জলদস্যুদের হাতে এখন দুটি পথ আছে। হয় তাদের পান্টল্যান্ড কর্তৃপক্ষের কাছে আত্মসমর্পণ করবে। অথবা বিদেশি বাহিনী যেমন এমভি রুয়েন থেকে জলদস্যুদের ধরে নিয়ে গেছে, তাদেরও সেই পরিণতি ভোগ করতে হবে।’
গত বছরের নভেম্বর থেকে ভারত মহাসাগরে সোমালি জলদস্যুরা প্রায় দুই ডজন জাহাজে হামলা করেছে। এর মধ্যে সর্বশেষ দস্যুদের হাতে জিম্মি হয়েছে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ।
মোজাম্বিক থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে আরব আমিরাত যাওয়ার পথে গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরের সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়ে এমভি আবদুল্লাহ। জলদস্যুরা জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ২৩ নাবিকের সবাইকে জিম্মি করে। নাবিকরা সবাই বাংলাদেশি।
নুগাল পুলিশ প্রধান মারদুউফ বিবিসিকে বলেন, জাহাজ ও ক্রুদের বাঁচাতে যেকোনো অভিযানে অংশ নিতে তারা প্রস্তুত।