আজ বিশ্ব দুগ্ধ দিবস: জেনে রাখুন দুধ খাওয়ার উপকারিতা

লাইফস্টাইল ডেস্ক

  • মানবজীবনের শুরু হয় দুধ দিয়ে। শরীর সুস্থ এবং কর্মক্ষম রাখতে দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার অপরিহার্য

 

শরীর সুস্থ এবং কর্মক্ষম রাখতে দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার অপরিহার্য। সুষম খাবারের অন্যতম একটি উপাদান হলো দুধ। বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন, সুষম খাবারের সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ উপাদান হলো দুধ। আর ১ জুন পালন করা হয় “বিশ্ব দুগ্ধ দিবস”। ২০০১ সাল থেকে জাতিসংঘ খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) উদ্যোগে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।

মানবজীবনের শুরু হয় দুধ দিয়ে। বিশেষজ্ঞদের মতে, শিশু-কিশোরসহ সব বয়সের মানুষের জন্য দুধ ভীষণ প্রয়োজনীয় খাবার। যেসব শিশু জন্মের পর ঠিকভাবে দুধ পান করতে পারে না, তারা অধিকাংশ সময় নানা ধরনের অপুষ্টিজনিত সমস্যায় ভোগে।

দুধের অপরিহার্য উপাদান ল্যাকটোজ, যা দৈহিক গঠন ও মেধাবিকাশে সাহায্য করে। এটি মানুষের স্বাস্থ্য রক্ষার মূল উপাদান। এই পানীয়তে আরও আছে অ্যামিনো অ্যাসিড, বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন, খনিজ পদার্থ যেমন ক্রোমিয়াম, আয়রন, কোবাল্ট, ম্যাঙ্গানিজ, কপার, জিংক ও আয়োডিন। গরুর দুধে পানি ৮৬.৫%, ল্যাকটোজ ৪.৮%, চর্বি ৪.৫%, প্রোটিন ৩.৫% এবং ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ ০.৭%।

দুগ্ধ দিবস কেন?
বৈশ্বিক খাদ্য হিসেবে দুধ ও দুগ্ধজাত দ্রব্যের গুরুত্ব তুলে ধরার লক্ষ্যে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা ঘোষিত একটি আন্তর্জাতিক দিবস এটি।

২০০১ সাল থেকে প্রতিবছর দিবসটি পালিত হয়। এবারের বিশ্ব দুগ্ধ দিবসের প্রচারণামূলক প্রতিপাদ্য হচ্ছে “দুগ্ধজাত খাবার উপভোগ করুন”। অর্থাৎ পুষ্টিমান ও স্বাদ বিবেচনায় দুধ প্রকৃতিতে প্রাপ্ত সর্বোত্তম খাবার। দুধে বিদ্যমান প্রোটিন, শর্করা, খনিজ ও ভিটামিন সব বয়সী মানুষের পুষ্টির চাহিদা মেটায়।

দুধ কেন খাওয়া উচিত?
দুধের সবচেয়ে উপকারী দিক হলো এর ক্যালসিয়াম। মানুষের হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য ক্যালসিয়াম অপরিহার্য। এটি ভিটামিন ডির ভালো একটি উৎস। ভিটামিন ডি হাড়, দাঁত, নখ, চুল ও ত্বকে পুষ্টি জোগায়। রোগ প্রতিরোধক শক্তি বৃদ্ধি করে। আরও আছে ভিটামিন এ, যা সব বয়সের মানুষের চোখের জন্য উপকারী। দুধের মধ্যে রয়েছে ফোলেট ও ম্যাগনেশিয়াম, যা আমাদের শরীরে হিমোগ্লোবিন তৈরিতে সাহায্য করে এবং প্রতিরোধশক্তি গড়ে তোলে রোগজীবাণুর বিরুদ্ধে।

আয়োডিন আমাদের হরমোনজনিত সমস্যা প্রতিরোধে সাহায্য করে। ভিটামিন বি বেরিবেরি অসুখ প্রতিরোধ করে, স্নায়ুকে রাখে কর্মক্ষম। এই সুষম খাবারের উপকারিতা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর।

দুগ্ধজাত খাবার, বিশেষ করে গরুর দুধকে, প্রায়ই “ঘুম উন্নীতকারী” খাবার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। গরুর দুধ “ঘুম উন্নীতকারী” উপাদান ট্রিপটোফ্যান, মেলাটোনিন, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের একটি ভালো উৎস।

ট্রিপটোফ্যান (দুধে বিদ্যমান একধরনের অ্যামিনো অ্যাসিড, গরুর দুধে ট্রিপটোফ্যানের পরিমাণ ৪০ মিলিগ্রাম ১০০ গ্রাম-১), মেলাটোনিন (দুধে বিদ্যমান একধরনের হরমোন) অনিদ্রা প্রতিকার ও নিরাময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

সোস্যাল নেটওয়ার্ক

সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত