দেশের বিভিন্ন এলাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ থেকে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস অবস্থান করছে। এসব এলাকায় ভোরে কুয়াশা ও রাত ও দিনে তীব্র শীত পড়ছে। আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ জানান, আজ দেশের সর্বনিম্ন ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও এর নিচে তাপামাত্রা ঢাকা বিভাগের মধ্যে টাঙ্গাইলে ৮.৫, ফরিদপুরে ৭.৫, মাদারীপুরে ৮.৩, গোপালগঞ্জে ৭.৮, নিকলে ৮.৬; রাজশাহী বিভাগের মধ্যে রাজশাহীতে ৭.৮, ঈশ্বরদীতে ৮.০, বগুড়া ও বদলগাছীতে ৯.০, তাড়াশে ৮.৪; রংপুর বিভাগের মধ্যে রংপুরে ৯.৬, দিনাজপুরে ৮.৪, সৈয়দপুরে ৮.৬, তেঁতুলিয়ায় ৭.১, ডিমলায় ৮.৫, রাজারহাটে ৭.৫; সিলেট বিভাগের শ্রীমঙ্গরে ৯.২; চট্টগ্রাম বিভাগের সীতাকুণ্ডে ৯.৪, কুমিল্লায় ৯.৯; খুলনা বিভাগের খুলনায় ৯.৪, সাতক্ষীরায় ৯.৫, যশোরে ৮.৬, চুয়াডাঙ্গায় ৬.৬, কুমারখালীতে ৯.০ এবং বরিশাল বিভাগের মধ্যে বরিশালে ৮.৪ ও ভোলায় ৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, মৌলভীবাজার, বরিশাল, ভোলা ও কুমিল্লা জেলা এবং ঢাকা বিভাগের ১৩টি জেলা, রংপুর বিভাগের ৮টি জেলা, রাজশাহী বিভাগের ৮টি জেলা ও খুলনা বিভাগের ১০টি জেলাসহ মোট ৪৩টি জেলার ওপর দিয়ে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু কিছু জায়গায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে অব্যাহত থাকতে পারে এবং কিছু কিছু জায়গা হতে প্রশমিত হতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, খুলনা বিভাগের দুই এক জায়গায় হালকা অথবা গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। সেই সঙ্গে মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে আজ মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং তা দুপুর পর্যন্ত কোথাও কোথাও অব্যাহত থাকতে পারে। তবে ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগে বিঘ্ন ঘটতে পারে।
