বিএনপি কালো পতাকা মিছিল ও আওয়ামী লীগ শান্তি ও গণতন্ত্র কর্মসূচী
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর প্রথমবারের মতো কর্মসূচী নিয়ে রাজপথে মুখোমুখি শাসক দল আওয়ামী লীগ ও রাজপথের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। শনিবার (২৭ জানুয়ারি) বিএনপি কালো পতাকা মিছিল ও আওয়ামী লীগ শান্তি ও গণতন্ত্র সমাবেশ কর্মসূচী পালন করে। নির্বাচনে অংশ না নেওয়া বিএনপি নতুন কর্মসূচী নিয়ে নেতা-কর্মীদের উজ্জীবিত করার যে পরিকল্পনা নিয়েছে রাজপথের নিয়ন্ত্রণ হাতে রেখে সেই পরিকল্পনা রুখে দিতে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে আওয়ামী লীগ।
দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে শনিবার দুপুর ১২টা থেকে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে শুরু করেন। সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে কালো পতাকা মিছিল শুরু হয়। এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ৩০ জানুয়ারি দেশের সব মহানগর, জেলা, উপজেলা, থানা ও পৌরসভায় কালো পতাকা মিছিল কর্মসূচির ঘোষণা দেন। ‘অবৈধ ডামি সংসদ বাতিল ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের’ দাবিতে এই কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেন তিনি।
অপরদিকে রাজপথে বিএনপিকে কোনো ছাড় দিতে নারাজ শাসক দল আওয়ামী লীগ। নির্বাচনের আগে যেভাবে একের পর এক কর্মসূচী নিয়ে রাজপথে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছিল, একইভাবে নির্বাচন পরবর্তী সময়েও রাজপথ দখলে রাখতে চায় দলটি। টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠনের পর প্রথম কর্মসূচী হিসেবে শনিবার বেলা ৩টা ২০ মিনিটে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ‘শান্তি ও গণতন্ত্র’সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ।
‘শান্তি ও গণতন্ত্র’সমাবেশে মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের দুর্ভাগ্য, সারা জীবন সংগ্রাম করতে হচ্ছে গণতন্ত্রের জন্য। বিএনপির গণতন্ত্র পছন্দ নয়’।
মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ সাইদুর রহমান বলেন, যাঁরা কালো পতাকা মিছিল করছেন, একদিন তারা হাতে হারিকেন নিয়ে ফিরে যাবেন।
এর আগে বিএনপির সমাবেশে ৭ জানুয়ারি সরকারের নৈতিক পরাজয় হয়েছে উল্লেখ করে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেন, জনপ্রতিনিধিত্বহীন সরকারের বিদায় ঘণ্টা বাজাতে রাজপথে এসেছি। এই সরকার কালো পতাকার কালো আঁধারে নিশ্চিহ্ন হয়ে বিদায় নিতে বাধ্য হবে।
দলের ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ বলেন, আমি আর ডামির ভোট ৭ জানুয়ারি। ৯০ ভাগ মানুষ ভোট প্রত্যাখ্যান করেছে।