বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগ দাবি করে যে তারা দেশ চালাচ্ছে। আসলে তারা দেশ চালায় না। দেশ চালাচ্ছে এক অদৃশ্য শক্তি। আর তাদের নির্দেশেই আজকে তারা দেশেন মানুষের অধিকারগুলো কেড়ে নিয়েছে। আমরা নিজ দেশে পরবাসী হয়েছি।’
এক অদৃশ্য শক্তি দেশ চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘ওই অদৃশ্য শক্তির নির্দেশেই আওয়ামী লীগ আজ দেশের মানুষের অধিকারগুলো কেড়ে নিয়েছে। আর আমরা নিজ দেশে পরবাসী হয়েছি।’
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শনিবার বিক্ষোভ সমাবেশে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা ও নিঃশর্ত মুক্তিসহ সব রাজবন্দির মুক্তি দাবিতে জাতীয়তাবাদী যুবদল এই কর্মসূচির আয়োজন করে।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগ দাবি করে যে তারা দেশ চালাচ্ছে। আসলে তারা দেশ চালায় না। দেশ চালাচ্ছে এক অদৃশ্য শক্তি। আর তাদের নির্দেশেই আজকে বাংলাদেশে তারা (আওয়ামী লীগ) মানুষের অধিকারগুলোকে কেড়ে নিয়েছে।’
আওয়ামী লীগ নেতাদের উদ্দেশ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘লজ্জা করে না। শরম বলতে তো আর কিছু নাই। লজ্জা শরমের মাথা খেয়ে ফেলেছেন। এমনভাবে কথা বলেন যে এটা আপনাদের পৈতৃক সম্পদ। যেভাবে খুশি ব্যবহার করবেন।
‘আমরা এখনও বলি- সময় আছে, জনগণের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। সেই জনগণকে বেরিয়ে আসতে বাধ্য করবেন না উত্তাল তরঙ্গ সৃষ্টি করে আপনাদের মসনদকে ভেঙে চুরমার করে দিতে।’
ফখরুল বলেন, ‘ক্ষমতাসীনরা ২৮ অক্টোবরের মতো আজও চেষ্টা করেছিলেন। আজকে একটা পটকা ফুটিয়েছেন। সেটা কে ফুটিয়েছে আমরা বুঝি না? দেশের মানুষ বোঝে না? সরকার দলীয় লোকেরা আবারও সেই অবস্থা তৈরি করতে চেয়েছে।’
ফখরুল বলেন, ‘সাময়িকভাবে আন্দোলনে কিছুটা ভাটা পড়তে পারে। আন্দোলন চলছে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া যখন বন্দি, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরতে পারেন না, টুকু (সুলতান সালাউদ্দিন টুকু) জেলে, তখন তো আন্দোলন চলছেই। প্রতিটি কারারুদ্ধ নেতাকর্মী আন্দোলন করছেন।’
তরুণ ও যুবকদের উদ্দেশ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘কোনো দেশের মুক্তি হয় না, যদি তরুণ ও যুবকরা এগিয়ে না আসে। আপনাদের বেরিয়ে আসতে হবে। রাজপথে জনগণকে নিয়ে চলে আসতে হবে। আর সেই জনগণকে নিয়ে আরও শক্তিশালী দৃঢ় প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। অন্যথায় স্বাধীনতা- সার্বভৌমত্ব জলাঞ্জলে যাবে। তাই আর বিলম্ব নয়। নিজেদেরকে শক্তিশালী করতে হবে। আজকে ডাক এসেছে দেশ থেকে, দেশমাতৃকা থেকে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘কোনো শুনানি ছাড়া দুই হাজার মানুষকে সাজা দেয়া হয়েছে। এটা কোনো আইনের শাসন হতে পারে না। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নেই। আপনারা (সরকার) কেড়ে নিয়েছেন। নির্বাচন ব্যবস্থাকে সরকার সম্পূর্ণভাবে গিলে ফেলেছে।
‘আওয়ামী লীগের নেতারা অনেক কথা বলেন। শুক্রবারই তাদের সম্মানিত সাধারণ সম্পাদক (ওবায়দুল কাদের) বলেছেন, আবার সন্ত্রাস সৃষ্টির চেষ্টা করবেন না। তাহলে এবার ডাবল শিক্ষা দিয়ে দিবো। বিএনপি কখনোই সন্ত্রাস করে না। বিএনপির সন্ত্রাসের ইতিহাস নেই। সন্ত্রাসের ইতিহাস আপনাদের। সন্ত্রাসের মধ্য দিয়েই আপনাদের জন্ম।’
